PravatiPatrika

Wednesday, May 20, 2020

অনু কবিতা

প্রাপ্তি মুখোপাধ্যায় এর অনুকবিতা

সব সিঁড়ি উঠে যায়, রেলিং দু'পাশ-
কোনোটা শূন্য ছোঁয় কোনোটা আকাশ!
শূন্যের রঙ মাখা আকাশটা বেশ!
মেঘ বেয়ে নেমে আসা জল অবশেষ-
তোমার আকাশনাম আমারটা জল,
মিলেমিশে একাকার নীল রসাতল .।


অনুকবিতা
     ...  সুধাংশু বর্মন

১.     ---স্পর্শ---
অস্পৃশ্যতা বিলীন হবে
তোমার হৃদয়ের স্পর্শে।

২.     ---সম্পর্ক--
 তোমার লেখনীর ধারায়
 শৃঙ্খল বেদী পরে
 নীরব সম্পর্কে বিলীন আমি।

৩.   --প্রেম--
এখন তোমার পা অসার
বৃথা ছুটে যাই প্রেমের জন্য।

৪.    --আশা--
নিভৃতে কাটানো দিন
আশায় বসে তোমার অপেক্ষায়...
তুমি আসলে,  ছায়া ফলক হবে।




এক সিরিজের তিনটি অণুকবিতা
প্রশান্ত ভৌমিক
-----------------------------
মেঘ
------
মেঘ আমায় প্রতিদিন বলে যায়
তুমি কোথায় যাও, কী কর,
প্রতিদিন ঠিক কটার সময় ছাদের
রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখ।
মেঘ জানেনা সে বলার আগেই
তোমার প্রতিটি পদক্ষেপ লুকিয়ে দেখি।

বৃষ্টি
------
বৃষ্টি আমার সেদিন বলল ডেকে
তুমি নাকি আহ্লাদে বৃষ্টিস্নান করেছ,
আমি বকে দিলাম খুব তাকে
বললাম, তোমার আহ্লাদ একান্তই আমার।
বৃষ্টি উচিত হয়নি সেটা দেখা
এ আমার সুখযাপন, মধুর স্মৃতি।

জল
------
জল আমার প্রথম জীবনের প্রেমিকা
যে জীবনে তোমার আগমণ ঘটেনি,
তখন আমি কেবলই জলের কাছে
ছুটে যেতাম ঢেউয়ের টানে বারেবার।
সেই জলও বলল, তোমার-আমার
মত প্রেম নাকি আর দেখেইনি।



         বৃত্ত
     নন্দিতা মিশ্র

শত চেষ্টাতেও বৃত্তের ব্যাস হতে পারলাম না।
ব্যাসার্ধও নয়।
ভাবলাম না হয় জ্যা-ই হবার চেষ্টা করি....
কিন্তু........

ছেদক?
অন্তত স্পর্শক...??
উঁহু...
কেন্দ্র থেকে বহু দূরেই রয়ে গেলাম।।

আমায় ছাড়াই বৃত্ত সম্পূর্ণ।।।



          প্রজন্ম
               বিনয় ভড়

 জানালা খোলা বসুন্ধরা
 আজকে বড়ই শীত,
 তুই যখন কাছে এলি
আমি খুঁড়লাম ভীত।


      মেঘের বিয়ে
             অভিজিৎ মন্ডল

ছদ্ম নামে কেন আসো
            কেন তুমি লুকিয়ে হাসো
মেঘ বলল শোনো তবে
            উত্তর সব গল্পে পাবে।।

বিয়ে আমার নদীর সাথে
            ব্যস্ত ছিল সবাই তাতে
হঠাৎ দেখি চোখে জল
             নদী বলল সাগরে চল্।।

সাগর নদীর মিলনে সৃষ্টি
               মধুর প্রেমে বন্দী দৃষ্টি
খুশি আমি নদীর সুখে
                 আনন্দ ভরা কান্না মুখে।।

মেঘের বিয়ে রইল বাকি
                জ্যোৎস্না বলে স্বপ্ন আঁকি
নদীর বন্ধু মেঘ হলে
               আমি জ্যোৎস্না‌ বউ তাহলে।।




       সঙ্কট
        অগ্নিমিত্র ( ডঃ সায়ন ভট্টাচার্য)

কী ভাবছো? সভ্যতা সঙ্কটে ?
এর জন্য কে দায়ী?...
মানুষের দোষে মানুষ আজ
হয়েছে যে ধরাশায়ী ।
একটু ভেবেই দেখো, মানুষের
বিস্ময়কর স্বভাব;
দয়ামায়াহীন অদ্ভুত সে,
আজকে পাচ্ছে জবাব !!


    ভেজা আবেগ
                   -চিরশ্রী  কুণ্ডু (অবন্তিকা)

তোমার ছোয়ায় ব্যাকুল মন
    শোনেনা কোনো মানা
তুমি আমার গানের মালা
     তুমি আমার ছন্দের তাল
তোমার মাঝেই আমার হৃদয়
     ব্যাকুলতায় দেয় সারা
বিদ্যুতের চমকে হারিয়ে যাওয়া
    এক গুচ্ছ স্বপ্নের দল
শুধু তোমার জন্য আজও খুঁজে
     সুরক্ষার আস্তরণ ,
নেই তো তুমি আমার কাছে
    ভয়ে করতে নেই যে বারণ
আকাশের বুকে চেয়ে আছে দেখো
    অশ্রু ভেজা মেঘ পুঞ্জের দল...
বৃষ্টির কণার অস্তিত্ব নেই
    অঝোর কান্নায় ভাঙ্গে মন
মুখ পানে চেয়ে দেখো
    অশ্রু ভেজা দুই নয়ন ....।।



আমি সেদিনের পুঁচকে ছেলে
-শাশ্বত ভট্টাচার্য্য

আমি তো সেদিনের পুঁচকে ছেলে,
কতটুকু প্রেম বুঝি,
তবু বারে বারে প্রেম প্রেম বলে,
মাথা ঠুকে কেনো মরি,
বিরহ ব‍্যথায় প্রান যায় যায়,
বুক যখন করে আইঢাই
তবু খালি যে শব্দ হারায়,
মন তো বলে তোমায় চাই।
কবিতা লিখবো এমন সাধ্যি
আমার তো নাই আজ অবধি
প্রেম প্রেম ভাব নিয়ে খালি,
হাতড়ে বেড়াই শুধুই বালি,
মনের পুকুরে জাল ফেলে আজি,
প্রাক্তনের মাছ ধরি।
বয়সটা যে তবু অল্প বড়োই,
আমি কী প্রেম বুঝি?



         লিপ্সুর. . . . টান
              ওয়াসিম সেখ

দু-চক্ষুর দৃষ্টিপটে মায়াবী নন্দন।
সম্মুখ শিয়রে নন্দীনীর চিত্রন।
মননের অনুরাগ চৌম্বক আকর্ষন।
নিয়তির কল্পনায় বাক্যের বিকর্ষন।
মায়াবী হরণ, রুপবতী, অপরুপ অপ্সরা।
দৃষ্টির নন্দন যেন ক্ষণীকের নিস্তরা।
সজাগ মৌহে সমার্পণ বাক্যার্থের কারচুপি।
পরিগ্রহ বাতাবরণে মননের টানসুরি ।
নিভৃত প্রয়াস প্রেমের লেলীহান লিপ্সা।
অন্তীম শ্লেষে দাবদাহের লিপ্সুর. . টান।



                যন্ত্রণা
            রাজশ্রী সেন

কলমের কালিতে ঝরে না সুখবৃষ্টি
লেখনীও কাঁদে সমুদ্যত বিপদ সংকেতে।
সূর্যের রোদও পরাজিত দুর্ভাবনার কুয়াশায় ,
মৃত্যু পুষ্প প্রস্ফুটিত উদ্ধত প্রতারণায় ,
জীবনের স্বপ্ন মৃতপ্রায় বিবর্ণ পরিচর্যায়।
সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে লাঞ্ছিত মনুষ্যত্ব
দীর্ঘশ্বাসের মিছিল নির্যাতিত বিশ্বাসের প্রতিবাদে।
উত্তপ্ত রক্তে স্পর্ধার উন্মোচনে
মানবিক সংগ্রামে নামে চক্রান্তের কুটীল উপসংহার।
প্রাণের কোষে ধ্বংসের বীজের অঙ্কুরোদ্গম,
জীবনের লগ্নে বিষাক্ত হিমছায়া।।



       অনুকবিতা
    সেখ সাবির মোল্লা।

 চোখের সামনে নগ্ন শতাব্দী পুড়ছে ঘৃণা নিয়ে,
জন অরণ‍্যে মানুষ অবলুপ্তির পথে।
মানবতার রক্তক্ষরণে ফ্যাকাসে হয়েছে।
রক্ত ভালোবাসি!


পিছনের দিকে ছুটে চলেছি ক্রমাগত
সাপ,ব‍্যাঙ,মানব-মানবী হাঁটছে পিছন পানে।
আদিম সভ‍্যতায় ফিরে যেতে চাই সবাই।


     মহৌষধ
        মৃন্ময় ভট্টাচার্য্য

মেঘের পরে মেঘ জমেছে
আঁধার হয়ে আসে,
আশঙ্কাতে প্রহর গোনা,
আম্ফানের ত্রাসে ।

করোনার দোসর হয়ে
আম্ফান তো এলো ,
পেছনে কার লাইন ভেবে
শুকিয়ে মুখ কালো ।

ঢেউয়ের মত আসছে বিপদ,
তাতে ভয় পেয়োনা ভাই,
একটাই ওষুধ সব বিপদে,
মাথা ঠান্ডা রাখা চাই ।



8 comments:

  1. অনেক ধন্যবাদ আমার অনুকবিতা " বিশ্বাস " প্রকাশের জন‍্য 💐💐💐💐
    সাবধানে থাকুন । সুস্থ থাকুন ।

    ReplyDelete
  2. অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ আমার "যন্ত্রণা" কবিতাটি প্রকাশ করার জন্য 🙏🙏

    ReplyDelete
  3. রাজশ্রী আপনার যন্ত্রনা কবিতা টা অসাধারণ লাগলো

    ReplyDelete
  4. প্রভাতী পত্রিকার সঙ্গে আমার যোগ অল্পদিনের। এই প্রয়াস সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলুক। সতেরোই মে আমার 'এখনও বসন্ত'কবিতাটি প্রকাশের জন্য কৃতজ্ঞ। যে কোনও প্রয়োজনে পাশে আছি। ভালো থাকবেন।
    - সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ আপনাকে।পাশে থাকবেন সর্বদা

      Delete