PravatiPatrika

Tuesday, August 18, 2020

মঙ্গলবারের পাতা

 উপাধি  ইচ্ছে

অর্ঘ্যদীপ বিষই


 আমার লেখা কবিতা  গুলো  নাই বা প্রকাশ পাক 

ছিঁড়ে যাওয়া সেই  ডাইরির উপর  না হয়  সুপ্ত ভাবেই থাক

আমার মতো কতজনের স্মৃতির মাঝে ইচ্ছে চড়ে

পূরণ হয়নি ইচ্ছে তাহার ডাইরির পাতা খসে যে পড়ে

 স্বপ্ন মাঝে ইচ্ছে শেষে ক্লান্ত প্রহর  এসছে মিশে

সময়কাল পেরিয়ে গেল স্বপ্নপূরণ আমি চাই না  শেষে

 ইচ্ছে এখন নেই তো হাতে  পরের কথাই ইচ্ছে ছুটে

কবিতা তোমার ইচ্ছে তো নয় অন্যের কথায় প্রকাশ ঘটে

 সমাজের এই জীবনচক্রে লেখা ছাপানোর ব্যবসা চলে

টাকা থাকলেই চাপবে তাহা  না হয়- ছড়ায় না পাখা সে বক্ষ মেলে

টাকা দিয়েই কিনার জন্য সবাই সম্মান এখন পায়

দৃষ্টিভ্রম হোক না সমাজ কিন্তু আমার কবি উপাধি চায়

খামখেয়ালীর উদ্দীপনায় কবি উপাধি নামের আগে  যে চিরে( চিরে মানে বসিয়ে)

 অন্তরস্রোত থেকে বলতে পারবে না তুমি আমি নতুন কবি আমি এসেছি ফিরে.




অবতল

শর্মিষ্ঠা সাহা


পাহাড়চূড়ায় বটগাছ দেখেছো কখনো?

এরকম কোন ক্যানভাসও হয় না ,

সমস্ত গুচ্ছমূল পাহাড়ী পাথর ভেদ করছে।

পাথরের ভেতর বালির শরীর,

বালিই একমাত্র জলশোষক ,

জন্ম হয় উষ্ণতাহীন বরফ পাহাড় ।

এভাবে পাথর ভাঙতে ভাঙতে

এলোমেলো রিনরিন চুড়ি লাল সাদা,

ত্রস্ত রঙ্গীন নখরঞ্জনির সাথে ।

মাস যায়, বছর যায়, যুগ যায় ,

বটগাছ বালিতে নেমে আসে ক্রমশ.....

ধীরে..........

কারণ, কোনো বালিয়াড়িতেই পাথর থাকে না।




পরাধীনতার অবসানে 

ডঃ রমলা মুখার্জী


স্বাধীন হয়েছে ভারতবর্ষ

        মুক্ত হয়েছে দেশ,

কত শহীদের রক্তধারায়

         পরাধীনতার শেষ।

স্বাধীনতার পূর্ণ মান

         তবেই পারবো দিতে -

জীবন যখন উৎসর্গ

          আর্তজনের হিতে।

স্বাধীনতার পুন্যতিথি 

         সেদিনই ভারতবর্ষে,

দেশের আকাশ ভরবে যবে

         ধনী-গরীবের হর্ষে।





অপেক্ষা (ছোট গল্প)

আব্দুল রাহাজ  

সময়টা ছিল রাতুলের শহরে পড়ার সময় সে গ্ৰামের ছেলে সরল সাদাসিধে খুব ভালো শহরে এসেছে এই দুই বছর হয়ে গেছে একবার এক রাতে কিছুতেই ঘুম আসছিলনা রাতুলের তার বন্ধু আলির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে গ্ৰামের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে তবুও সে অপেক্ষায় আছে কবে পড়াশোনা শেষ করে আবার মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস ছোটাছুটি করবে হাত ধরাধরি খেলা করবে একথা মনে মনে ভাবতে থাকে। রাতুল আর আলি ওরা ছোট থেকে ভালো বন্ধু সবার বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ায়। রাতুলের বাবা উকিল আলির বাবা চাষি ওদের সম্পর্ক টা বেশ ভালো ।গ্ৰামের পাঠশালায় ওরা যখন পড়তো বরাবরই ভালো পড়াশোনা করতো বিকাল বেলা গ্ৰামের ছেলে মেয়েদের সাথে নিশান দের বাগানে খেলা ও সে কী হই হল্লোড় করে খেলা  কাটতো খেলার শেষে ধু ধু ধুলো উড়িয়ে চিকাৎর করতে করতে  তানসিম দের পুকুরে হই  হই করে স্থান করে বাড়ি আসে। রাতুল আর আলি বিকালে ছুটির দিন গুলোতে সজোনবাদিয়ার ঘাটে গিয়ে বসতো ফুর ফুরে হাওয়ায় ওদের মনটা হালকা হয়ে যেত ওদের দিন গুলো বেশ ভালোই কাটতে  লাগলো এভাবেই গ্ৰামের পাঠশালায় চার বছর কেটে গেল ।এরপর সেই দিন যে দিন গ্ৰামের পাঠশালা শেষ হবে ওরা বেশ হাসি খুশি ছিল বিকাল বেলায় বট গাছের তলায় বসে রাতুল বললো কাল চলে যাচ্ছি রে তোর জন্য চিঠি লিখবো আলি চাপা গলায় বললো আচ্ছা তাই হবে তোর জন্য অপেক্ষায় থাকবো আজীবন । রাতুল বললো এই তুই কোথায় পড়বি জলপরিয়া হাই স্কুলে ভর্তি হবো আর কী করবো এই বলে দুজন চলে গেল পরের দিন সকাল বেলায় রাতুল চলে যাচ্ছে ফজরের নামাজ পরে আসার পথে দেখা রাতুল বললো আমি চললাম আচ্ছা যাও তাহলে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে বিদায় দিলো আর বললো বন্ধু তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকবো আজীবন ।




 " মনের রাজ্য জয় " 

জুয়েল রুহানী


সৃষ্টি সুখের উল্লাসে আজ

দৃষ্টি তাহার পানে,

যাহার মাঝে স্বপ্ন খেলে-

দু চোখেরি কোণে।


কুন্তলে তার মেঘের ছোঁয়া

যায় না তারে পাওয়া,

এলো কেশে যায় হারিয়ে-

এলে ফাগুন হাওয়া।


রেগে-মেগে আগুন হয়ে

তাকিয়ে যখন রয়,

হংসী নাচে হৃদ যমুনায়-

ভর করে ডানায়।


তাহার পানে দৃষ্টি দিয়ে 

পলক ফেরার নয়,

স্বপ্ন রূপের ঝলসানিতে

মনের রাজ্য জয়!




Monday, August 17, 2020

সোমবারের পাতা

 সেই মেয়েটি (কবিতা)

আব্দুল রাহাজ  

সে আজও অপেক্ষায় আছে 

সোজনবাদিয়ার ঘাটে।

নীল আকাশে পাখি ডানা মেলে ওড়ে 

সেও যেন প্রিয় মানুষটিকে দেখার জন্য প্রকৃতির সবুজ মায়ের কোলে ভেসে বেড়াচ্ছে।

দিন পার হয় বছর পার হয় সে আজও আসেনা 

রাগে দুঃখে কষ্টে নদীর পাড়ে বসে ভাবতে থাকে তার সাথে দেখা আর এ জন্মে হবে কী।

সেই মেয়েটি আজও অপেক্ষায়

তার প্রিয় মানুষটিকে একপলকে দেখার

সেদিন সে হবে আনন্দিত পৃথিবীর সবচেয়ে খুশির মানুষ

হিমেল বাতাস বইবে চারিদিকে কিন্তু সেই দিনটি কবে হবে

সেই মেয়েটি যে অপেক্ষায় আছে।




 ধিক্কার 

নাসরাতুল হোসাইন নিশান 


ধিক্কার জানাই সেই মানুষ দের

যাদের জন্য আজ দেশের এই অবস্থা,

ধিক্কার জানাই সেই মানুষ দের

যারা এগুলো দেখেও নেই নি কোনো ব্যবস্থা!

তারা করেছে অনেক মানুষের জীবন নষ্ট 

আর অনেক মানুষ তো তাদের বড় ভক্ত। 

তারা করছে এই দেশকে শাসন শোষণ 

আর অনেক মানুষ হারাচ্ছে তাদের নির্বাসন! 

ধিক্কার জানাই তাদের

 যাদের জন্য হচ্ছে শত মায়ের বুক খালি, 

ধিক্কার জানাই তাদের 

যারা এগুলো দেখেও হেসে কাটিয়ে দিচ্ছে দিন গুলি। 

শোষনের জাঁতাকলে মানুষ হচ্ছে অস্থির

ভবিষ্যৎ জে বড়ই করুণ,

থাকবো কিভাবে সু-স্থির!!

আজ থাকবো না বসে ঘরে 

দেখি কে কি করে, 

প্রতিবাদ চলতে থাকবে 

চলবে রাত ভোরে! 

চলতে থাকুক এই আন্দোলন, 

চলতে থাকুক এই সংগ্রাম 

যেখানে অন্যায় দেখবো, 

সেখানেই আঘাত আনব!




সমাজের বিষবাষ্প

           ব্যর্থ লেখক


এখন দিগন্তের সেই আলোতে অবশ হওয়ার শোক।

 কাঁটার তারে আগুন জ্বলে লেগেছে বিক্ষোভ।

কথায় কথায় অগ্নিগোলক বারুদের-ই চাপ--জ্বরের ক্লান্তি.. নিঝুম রাত্রি..ভেঙ্গেছে থার্মোমিটার ধাপ।




তৃষ্ণাত্ব হৃদয়

 জুয়েল রূহানী।


তৃষ্ণাত্ব হৃদয়ের আত্মচিৎকারে যে সুর,

বিস্বাদ এর অবগাহনে আঁখি ব্যাথাতুর।

আঁখি পানে চেয়ে তৃষ্ণা মেটাতে এ মন

উন্মাদনায় ছুটে, আসে যদি শুভ ক্ষণ?

গোধূলি লগন অতিক্রান্তে রাত্রি যাপন,

রাত্রি শেষে রবির উদয় কত যে আপন।

রবি'র আলোয় ঝলমলে কেশ কারিলো এ মন,

মেঘলাকাশে এলো কেশে মায়া রূপ দর্শন,

শত উপমায় তবু দু'চোখে  জল বর্ষন!







Sunday, August 16, 2020

রবিবারেরপাতা

 শ্রেষ্ঠ স্বাধীনতা

আব্দুল রাহাজ  

আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা হয়েছি মুক্ত বেঁচে আছি স্বাধীন ভারতবর্ষের ভূমিতে।

দুশো বছরে লাঞ্ছনা-বঞ্চনা অত্যাচার সহ্য করে শত লড়াই করে কত শত মায়ের সন্তানের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা।

দুশো বছরের ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে আজ আমরা মুক্ত বাতাসে ভেসে আছি। সত্যিই আমাদের স্বাধীনতা বিশ্বের দরবারে চিরজীবন শ্রেষ্ঠ

 শ্রেষ্ঠ

যা শ্রেষ্টতম অধিকার করে আছে আজীবন।



স্বাধীনতা

সত‍্যব্রত ধর


৭৪তম স্বাধীনতার প‍্যাকেজ ঝনঝনিয়ে উঠতেই,

আঙ্গুলের ফাঁক গলে বেড়িয়ে গেলো দেশের শূন‍্যস্থান।

দেশপ্রেমিকদের পিঠে চাবুকের দাগে জমাট রক্ত-ছবি,

স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার পুরোনো গল্প শোনায়।

মুক্তির স্বাদ স্হান-কাল-পাত্র ভেদে ফ‍্যাকাশে হলেও,

জন্মভূমিই সেরা বলে চেঁচিয়ে মরে আম জনতা।

আমি রোদের লগ্ন ভেঙে মেঘ ডেকে আনার পাশাপাশি,

বৃষ্টির নরম  বাষ্পে কান পাতি স্বাধীন হবো তা



পার্থিব

কপিলদেব সরকার


আছেন, তিনি আছেন।

মানুষের কায়াপৃথিবীতেই আছেন, 

     কল্পিত পরলোকে নয়।


শ্রমে আছেন, স্বেদে আছেন,

কৃষকের খেদে আছেন,

সৈনিকের বুলেটে আছেন,

অরণ্যের আর্তনাদে আছেন,

আমাদের নিষ্ক্রিয়তায় আছেন,

সান্ধ্য বিনোদনে, ছদ্মকবিতায় আছেন,

অরাজনৈতিকতায় আছেন,

চিৎকৃত দেশপ্রেমে আছেন।


তিনি তো সর্বময়, সর্বব্যাপী

তাঁর অনেক নাম, অজস্র রূপ।

কিন্তু তাঁর ধর্ম, ও কর্ম

                                 - একটাই

নিরন্তর জল মেপে মেপে

বিপদের দাগ কেটে যাওয়া

  - আমাদের ধৈর্য্যের বাঁধে।




বর্ষা রাণী

-----সত্যব্রত চৌধুরী


রুণু-ঝুনু নূপূর পায়

মেঘলা রং শাড়ি গায়

হেরো ঐ আকাশ পথে

বর্ষা রাণী কেমন ধায় ।।


ধায় সে আপন মনে

পাহাড় মরু বনতলে।

পশ্চিমে বা পুব গগনে

তা থৈ নাচে সমতলে ।।


নূপূরের আওয়াজ মধুর

টুপ টুপ টাপুর টুপুর ।

রিম ঝিম ঝর ঝর ঝর

নাচে রাণী সারা দুপুর ।।


ঢেকে যায় রবির আলো

ছেয়ে ফেলে গগন জুড়ে ।

ভেকগুলি অথৈ জলে

গেয়ে চলে আপন সুরে ।।


তারই সুরে নাচে চাষী

ছোটে সে লাঙল নিয়ে ।

মুখে  তার  তৃপ্ত  হাসি

চষে  মাঠ  ফলা  দিয়ে ।।




পঞ্চক 

রঞ্জন চৌধুরী


১.

গন্বুজের শীর্ষে আছে যে প্রাকারের রঙ

তাকে আমি রোজ দেখি

                             দাঁড়িয়ে আছে

                             বেড়ার সুরক্ষা বেদিতে

যেন এক প্রপঞ্চক

যেন এক সঙ। 


২.

চোখ চুম্বকে আটকে আছে যে নদী

সে নদী উপমারহিত  কোন প্রবাহিনী নয়

সরীসৃপ স্বভাবিনী মাটির চন্দন মাখা

আমার প্রণয়িণী পাগলিণী। 


৩.

প্রবেশ আর প্রস্থান মাঝে

যে ফাঁক আছে চিলতে, একটি

বসে আছি সেখানে চুপটি


আর স্নান জড়ানো আঁচল খসা বধূটি

ঝিম ধরা দুপুরে ঢাকছে তার বুক দু'টি। 


৪.

বৃষ্টি আমায় প্রথম শোনায়

স্কন্ধকাটা ঝড়ের কথা


ঝিনুক হাতে 

মাঠ বিকেলের বৃষ্টিদিনের বৃষ্টি সেদিন

দাঁড়িয়ে ছিল পদ্মপাতায়। 


৫.

এক আকাশ চাঁদ ছিল রাতে

আঁজলা রঙের মোহের


রোদ উঠতেই দেখি

গড়িয়ে পড়া ছায়াটা তার

সুতোয় মোড়া দাঁড়িয়ে প্রবেশপথে ।


                       


মুজিব হতে চাই

নাসরাতুল হোসাইন নিশান 


আমার শরীরে বইছে শত বছরের বাঙালির রক্ত

তাই আমায় হতে হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ভক্ত।


আমায় হতে হবে তার মতো প্রতিবাদি

আমায় হতে হবে তার মতো দেশের প্রতি নিষ্ঠাবান,

আমি করি সংকল্প প্রত্যেক সকাল

এ দেশের জন্য বিলিয়ে দিবো নিজের জান।


কারণ শেখ মুজিব আমার প্রান,

কারণ হৃদয়ে আমার শেখ মুজিব।

হৃদয়ে আমার বঙ্গবন্ধু! 


আমি তার মতো বাঘের গর্জন দিতে চাই

আমি তার মতো দেশের জন্য প্রান দিতে চাই

আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে চাই।


মুজিব আমার দেহের রক্তে মিশে আছে

মুজিব আমার মধ্যে বেঁচে আছে,

মুজিব তোমার আমার সবার

সকলের মুজিব সকলের কাছে বাঁচে।


মুজিবকে করি আমি বারবার স্বরণ

মুজিবেতে আমার বেঁচে থাকা, মুজিবেতেই মরণ। 


আমি শুনেছি,

"রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব- 

এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।"

তোমার এই ধ্বনি শুনে মানুষ আজো চোখ ভেজায়

তোমার স্বাধীন দেশের মানুষ তোমায় ভেবে দিন কাটায়।


আমার  বঙ্গবন্ধু, আমি তোমায় চাই

আমার মনে তুমি, আমি মুজিব হতে চাই,

আমি জাতির পিতার সৈনিক হতে চাই।




অনুভবে

         মৃন্ময় ভট্টাচার্য্য 


যারা এনেছিল স্বাধীনতা 

সয়েছিল অকথ্য ব্যাথা,

বুঝিনা আমরা তা 

সম অনুভবে ,

কাটাই এ'দিনটা

হুল্লোড়ে, কলরবে !


নিজেকে উজার করে

জীবনটা বাজী ধরে 

আমাদের সুখ চেয়ে

হয়েছিল নিঃস্ব ।

আমরা ভোগের খোঁজে

মা-মাটি-দেশ ভুলে

পাড়ি দিই বিশ্ব !


আজ শহীদ পূজার দিন 

স্মরী সে ত্যাগের ঋণ,

যাদের বলিদানে

হয়েছি স্বাধীন ।


জয় হিন্দ ।