উপাধি ইচ্ছে
অর্ঘ্যদীপ বিষই
আমার লেখা কবিতা গুলো নাই বা প্রকাশ পাক
ছিঁড়ে যাওয়া সেই ডাইরির উপর না হয় সুপ্ত ভাবেই থাক
আমার মতো কতজনের স্মৃতির মাঝে ইচ্ছে চড়ে
পূরণ হয়নি ইচ্ছে তাহার ডাইরির পাতা খসে যে পড়ে
স্বপ্ন মাঝে ইচ্ছে শেষে ক্লান্ত প্রহর এসছে মিশে
সময়কাল পেরিয়ে গেল স্বপ্নপূরণ আমি চাই না শেষে
ইচ্ছে এখন নেই তো হাতে পরের কথাই ইচ্ছে ছুটে
কবিতা তোমার ইচ্ছে তো নয় অন্যের কথায় প্রকাশ ঘটে
সমাজের এই জীবনচক্রে লেখা ছাপানোর ব্যবসা চলে
টাকা থাকলেই চাপবে তাহা না হয়- ছড়ায় না পাখা সে বক্ষ মেলে
টাকা দিয়েই কিনার জন্য সবাই সম্মান এখন পায়
দৃষ্টিভ্রম হোক না সমাজ কিন্তু আমার কবি উপাধি চায়
খামখেয়ালীর উদ্দীপনায় কবি উপাধি নামের আগে যে চিরে( চিরে মানে বসিয়ে)
অন্তরস্রোত থেকে বলতে পারবে না তুমি আমি নতুন কবি আমি এসেছি ফিরে.
অবতল
শর্মিষ্ঠা সাহা
পাহাড়চূড়ায় বটগাছ দেখেছো কখনো?
এরকম কোন ক্যানভাসও হয় না ,
সমস্ত গুচ্ছমূল পাহাড়ী পাথর ভেদ করছে।
পাথরের ভেতর বালির শরীর,
বালিই একমাত্র জলশোষক ,
জন্ম হয় উষ্ণতাহীন বরফ পাহাড় ।
এভাবে পাথর ভাঙতে ভাঙতে
এলোমেলো রিনরিন চুড়ি লাল সাদা,
ত্রস্ত রঙ্গীন নখরঞ্জনির সাথে ।
মাস যায়, বছর যায়, যুগ যায় ,
বটগাছ বালিতে নেমে আসে ক্রমশ.....
ধীরে..........
কারণ, কোনো বালিয়াড়িতেই পাথর থাকে না।
পরাধীনতার অবসানে
ডঃ রমলা মুখার্জী
স্বাধীন হয়েছে ভারতবর্ষ
মুক্ত হয়েছে দেশ,
কত শহীদের রক্তধারায়
পরাধীনতার শেষ।
স্বাধীনতার পূর্ণ মান
তবেই পারবো দিতে -
জীবন যখন উৎসর্গ
আর্তজনের হিতে।
স্বাধীনতার পুন্যতিথি
সেদিনই ভারতবর্ষে,
দেশের আকাশ ভরবে যবে
ধনী-গরীবের হর্ষে।
অপেক্ষা (ছোট গল্প)
আব্দুল রাহাজ
সময়টা ছিল রাতুলের শহরে পড়ার সময় সে গ্ৰামের ছেলে সরল সাদাসিধে খুব ভালো শহরে এসেছে এই দুই বছর হয়ে গেছে একবার এক রাতে কিছুতেই ঘুম আসছিলনা রাতুলের তার বন্ধু আলির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে গ্ৰামের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে তবুও সে অপেক্ষায় আছে কবে পড়াশোনা শেষ করে আবার মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস ছোটাছুটি করবে হাত ধরাধরি খেলা করবে একথা মনে মনে ভাবতে থাকে। রাতুল আর আলি ওরা ছোট থেকে ভালো বন্ধু সবার বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ায়। রাতুলের বাবা উকিল আলির বাবা চাষি ওদের সম্পর্ক টা বেশ ভালো ।গ্ৰামের পাঠশালায় ওরা যখন পড়তো বরাবরই ভালো পড়াশোনা করতো বিকাল বেলা গ্ৰামের ছেলে মেয়েদের সাথে নিশান দের বাগানে খেলা ও সে কী হই হল্লোড় করে খেলা কাটতো খেলার শেষে ধু ধু ধুলো উড়িয়ে চিকাৎর করতে করতে তানসিম দের পুকুরে হই হই করে স্থান করে বাড়ি আসে। রাতুল আর আলি বিকালে ছুটির দিন গুলোতে সজোনবাদিয়ার ঘাটে গিয়ে বসতো ফুর ফুরে হাওয়ায় ওদের মনটা হালকা হয়ে যেত ওদের দিন গুলো বেশ ভালোই কাটতে লাগলো এভাবেই গ্ৰামের পাঠশালায় চার বছর কেটে গেল ।এরপর সেই দিন যে দিন গ্ৰামের পাঠশালা শেষ হবে ওরা বেশ হাসি খুশি ছিল বিকাল বেলায় বট গাছের তলায় বসে রাতুল বললো কাল চলে যাচ্ছি রে তোর জন্য চিঠি লিখবো আলি চাপা গলায় বললো আচ্ছা তাই হবে তোর জন্য অপেক্ষায় থাকবো আজীবন । রাতুল বললো এই তুই কোথায় পড়বি জলপরিয়া হাই স্কুলে ভর্তি হবো আর কী করবো এই বলে দুজন চলে গেল পরের দিন সকাল বেলায় রাতুল চলে যাচ্ছে ফজরের নামাজ পরে আসার পথে দেখা রাতুল বললো আমি চললাম আচ্ছা যাও তাহলে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে বিদায় দিলো আর বললো বন্ধু তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকবো আজীবন ।
" মনের রাজ্য জয় "
জুয়েল রুহানী
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে আজ
দৃষ্টি তাহার পানে,
যাহার মাঝে স্বপ্ন খেলে-
দু চোখেরি কোণে।
কুন্তলে তার মেঘের ছোঁয়া
যায় না তারে পাওয়া,
এলো কেশে যায় হারিয়ে-
এলে ফাগুন হাওয়া।
রেগে-মেগে আগুন হয়ে
তাকিয়ে যখন রয়,
হংসী নাচে হৃদ যমুনায়-
ভর করে ডানায়।
তাহার পানে দৃষ্টি দিয়ে
পলক ফেরার নয়,
স্বপ্ন রূপের ঝলসানিতে
মনের রাজ্য জয়!
No comments:
Post a Comment