PravatiPatrika

Tuesday, July 14, 2020

কবিতা,শুধুই কবিতা



       শ্রাবণের হাত ধরে
        মিনতি গোস্বামী

শ্রাবণের হাত ধরে শিখে ফেলি পদ‍্য
বন্দীঘরে জীবনতো হয়ে গেছে গদ‍্য।

কাব‍্যাকারে যত ছন্দ শিখে ফেলি আজ
মহাকাব্য লেখা হলে জানি দেবে কাজ।

মন নয় মাটিওতো আজ রসবতী
শ্রাবণের ধারা মেখে হবে গর্ভবতী।

ফুলে ফলে ভরা ঋতু শ্রাবণের ঋণী
তার জেরে জগতের সব বিকিকিনি।

ভালোবাসা ভালোথাকা সব জলময়
জলহীন হলে সব মরিচীকা হয়।

আকাশের ময়দানে আজ  কোলাহল
মুছে দেবে পৃথিবীর যত হলাহল।

আলোময় মধুময় হবে ধূলিকণা
ধারা জলে ধুয়ে যাবে সব আবর্জনা।






          জীবন
    কবিতা ভট্টাচার্য

আমার  সমস্ত জীবন জুড়ে  আছে
এক শীতের দুপুর
পায়ে পায়ে পাতার  শব্দ
আর মহুয়া ফুলের  মিষ্টি  গন্ধ ।।





তোমার পথ চেয়ে
         তাপস বর্মন

জানালা খুলে তাকিয়ে আছি
     তোমার পথটি চেয়ে,
একটি বার আসবেনা প্রিয়
     স্মৃতির সরনী বেয়ে?
কত বসন্ত পেরিয়ে গেলো
     তোমায় ডেকে ডেকে,
পলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়াদের
     নীরব সাক্ষী রেখে।
মনের ভেলা ভাসিয়ে দিলাম
    তোমার উজান স্রোতে,
পারলে তারে সাজিয়ে রেখো
     চলবে সাথে সাথে।
             



   

          অলৌকিক ফুল 
          সৌম্য ঘোষ
     

এক দ্বীপ থেকে অন্য এক দ্বীপ
এক অনুভব থেকে অন্য চেতনার তরঙ্গ
মূর্ছিত হয় হৃদয়বত্তা জুড়ে ।

একদিন উদার মাঠে ভরে ছিল কনক ফসলের গন্ধ
স্বপ্নে দেখা সেই অলৌকিক ফুলের পাপড়ি ,
যে সবকিছু নির্মল তরঙ্গ হয়ে
ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র সত্তায়
সেই আশ্চর্য বর্ণালীর ছটা ,
দেখলাম শিল্পের গাঢ় মুগ্ধতায় ।


রক্তে আমার গভীর অদম্য আকর্ষণ
ইতিহাস পরিত্যক্ত আদিম আত্মার ইশারায় ;
যখন ভাষার সৃষ্টি হয়নি ,
সেই মহাকালের প্রান্তরে
আমি যাবো, তার প্রতীক্ষায় অধীর হৃদয়
অনুরাগের সত্তাকে বিস্তৃত করে দেব
সেই অলৌকিক ফুলের মতো ।


তন্ময় রাত্রে যখন ক্রমশ: চিত্রিত হচ্ছে
শিল্পিত মেঘমালা ; সেই নিবিড় একাত্ম মঞ্চে
আলোর নৃত্য ও নর্তকীর মধ্যে সেই অলৌকিক
ফুলের আতর গন্ধ পাই  ।।





          পথ
--চিরঞ্জিৎ বৈরাগী

খাতাগুলো ছিঁড়লেও
অগোচরে থেকে যাবে একশোভাগ হিসেব

তোমার থেকেই অন্যতুমি
মনে রেখো
 সুন্দর সকালের উল্টোপিঠে দুঃখ-রাত

তর্জনী যতো উঠবে
বৃদ্ধাঙ্গুলি তত কাছে

ব্যক্তি এক। পথ অগাধ
বেছে নেওয়া তোমার কর্তব্য




    ধরো যদি
নির্মলেন্দু কুণ্ডু

ধরো যদি
তাপাঙ্ক কমে যায় শূন্যে
শান্তিগুলো খুঁজে পায় গোর
বাড়াবো হাত তখনও৷
খুঁজে পাই যদি সহজাতকে
বুঝে নেব
তুমিও গিয়েছো কোন থার্মোমিটার-খোঁজে
হয়তো বা পেয়ে গেছো
জোড়া শালিখের খোঁজ৷
আমিও দিয়েছি পাড়ি
কোন এক দিকশূন্যপুরে
সাথে নেব শুধু এক
পারদশূন্য থার্মোমিটার...





বল, সুবিনয়
কপিলদেব সরকার

এ বড় কঠিন কাজ, বড়
ভারি হয়ে এসেছে বোঝাটা
কাঁধ নুয়ে পড়েছে, মাটিতে
থেমে থেমে থমকিয়ে হাঁটা

বন্ধুকে বাহুতে জড়িয়ে
ধরতেও কি যে লাগে বাধো
চোখের চাউনি পুড়ে গেছে
নেই তার চিলেকোঠা ছাদ‌ও

কি আগুন জ্বলল হাওয়াতে
কোন পথে নিয়ে এল চাকা
তুই আজ বল সুবিনয়
এইভাবে যায় বেঁচে থাকা?

কি হত খারাপ হয়ে গেলে?
তোর মত খারাপ হ‌ওয়াটা
বরং এক দ্বিধাহীন, ঋজু
নিঃশঙ্ক পদক্ষেপে হাঁটা

সুবিনয়, ধুলোপথ ধরে
তোর পথে পাড়ি দেব আমি
ভাঙার সাহস রাখে যারা
জীবন তাদের অনুগামী।



   বল, সুবিনয় (২)


এই পথ, এই অন্ধকার
পিচ্ছিল এই অনুগ্রহ, চোরা বাঁক,
    চকমকি পাথরের আবিষ্কারমুহূর্তের মত
তোর অপেক্ষায় আছে, সুবিনয়।

আগুনের পাখি হয়ে উড়ে গেছিস
তীব্র ডানা ঝাপটিয়ে আকাশে
পালক কুড়িয়ে নিয়ে রেখেছিলাম
   একটা, দুটো
আজ তার সূচ্যগ্র নিব্
   ক্রমাগত ঝরাচ্ছে স্ফুলিঙ্গ,
   ঝরাছে অনিবার্য বর্ণমালা।

সুবিনয়, কি দৃপ্ত বিনয়ে তুই বলেছিলি
    মানুষকে শেখাবে তার প্রয়োজন
         প্রয়োজন মানে পাঠশালা।





         অপেক্ষা 
     রাজকুমার ঘোষ

স্মৃতির চাদরে মোড়া সেদিন আজও মনে পড়ে
মেঘলা দিনের ক্লান্ত শহর---
ব্যাথা বেদনা ভুলে ছুটে এসেছিলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে,
উন্মুক্ত হৃদয় দ্বার ----
বারে বারে উপেক্ষাতেও যা রুদ্ধ হয়নি।

না বলা অনেক কথা কবিতার ভাষা হয়ে ওঠেনি,
ভালোবাসার মন মন্দিরে স্থান হয়েছিলো,
অবজ্ঞার চোরাস্রোতেও যা ভেসে যায়নি
তাইতো আস্তাকুঁড়ে পড়ে গিয়েও ফিরে এসেছ সদা জাগ্রত এই মন্দিরে---
নিরাপত্তার বলয়ে ঠাঁই পেয়ে বিকশিত করেছ। 

কালের নিয়মে স্থায়ী হয়েছ,
জীবনের বন্ধন মজবুত ভীতে গড়েও উঠেছে
এ হৃদয় দ্বারে অবারিত আসা যাওয়ায় মুখফুটে বলার প্রয়োজনও হয়নি
যা সকলের দৃষ্টিতে সুদৃঢ় ছিল---

সব কিছু মিথ্যা প্রমান করে আবার ডানা মেলে মুক্ত আকাশে
নতুন কোনো মোহে ভাসিয়ে
প্রাপ্তির ভান্ডার শূন্য করে দিয়েছ-- 
অস্তিত্ত্বহীন হয়ে অন্ধকারে সঁপে দিয়েছ, আলোকে আসতেও চাওনি 
মুক্ত প্রাণবায়ু হয়ত অসহ্য লাগে
তবুও উদ্দেশ্যহীন জীবনের গাঁথা যদি শোনাতে চাও,
হৃদয় দ্বার তো উন্মুক্ত আছেই---- 
এসো তবে অপেক্ষা না হয়, আবার করবো।





-পাশবিক হত্যা
                  ব্যর্থ লেখক

আকাশে সপ্তর্ষিমণ্ডলের স্বপ্রভ বৈদ্যুতিক ছটার স্তব্ধতা।
নীচে কাঠপোকারা অনলশিখায় তুলছে চিহ্নহীন মাংস।
যার নরম কামড়ে রয়েছে চুরুট বারুদের শুকনো গন্ধ।
তারা নিজেদের স্বার্থে পাশবিক হয়ে হত্যালীলা ব্যস্ত।
এখন রক্তে রাঙাগোধূলি বন্দি হয় দিগন্তরেখার প্রান্তে।
মরুপথিক দিশাহীন পালভাঙ্গা রঙ্গমঞ্চে মেষ পালকের ন্যায় অজান্তে।
জীর্ণ শরীরের বিদীর্ণ রক্তে ভরে উঠেছে উন্মাদ হাড়কাঠ।
আজ লাজুক মূর্তির না বলা বিশ্বাস বন্ধ করেছে কপাট।






    ধর্ষণ
       সত‍্যব্রত ধর

যাযাবরের মতো হেঁটে যেতে যেতে...
ধাক্কা খাওয়া দৃষ্টি পিছন ফিরে তাকাতেই,
মশালের লাল আলোটা
ধক্ করে জ্বলে উঠে নিভে গেলো!
ম্লান গোধূলির আলোয় দেখতে পেলাম,
দেওয়াল থেকে রক্তের ফিকে গন্ধটা ভেসে আসছে!
ঝকঝকে ইস্পাতের ফালার অস্ত্রসহ
কয়েকটি পায়ের মাটি কাঁপানো শব্দ,
 কানে ধাক্কা খেলো।
হাত পাঁচেক ধোঁয়াটে রঙের কাপড় পরে,
বিধবা যুবতী হঠাৎ আমায় এসে জড়িয়ে ধরলো!
তারপর বিনা বাক‍্যব‍্যয়ে পরিত্যক্ত পোড়ো বাড়িতে
ধর্ষিতার নিঃশ্বাসের শব্দ কয়েকবার প্রতিধ্বনিত হয়ে,
থেমে গেলো!
অসহায় আমি চিৎকার করে বলে উঠলাম...
হে ঈশ্বর আর কততততত....?





           ভালোবাসা
                        শিবপ্রসাদ গরাই

আমি কি কখনও ভালবাসতে পেরেছি ?
আমি কি কখনও কাউকে ভালবাসতে পেরেছি?
নদী -ফুল- ফল -পাতা- সমুদ্র
ভালবাসতে পেরেছি কাউকে
কাউকে কখনও ভালবাসতে পারিনি ।

ভালোবাসা কাকে বলে ?
একদিন কোন এক ক্ষুধার্ত শিশুর সামনে
এক থালা ভাত রেখে দেখো
খুশিতে চোখগুলো কেমন চকচকে হয়ে ওঠে । সাতদিন অনাহারে থাকা কোন এক বালকের কাছে একগামলা মাড় রেখে দেখো
তার সুগন্ধে কেমন সুবাসিত হয়ে ওঠে তার চোখ- তার মুখ-তার সর্বাঙ্গ।
দেখো, রেখে দেখো ।
আর আমরা, শালা, ফুল- ফল- পাতা নিয়ে ন্যাকামি করে বেড়াচ্ছি।

ভালোবাসতে যদি হয়, ওই ক্ষুধার্ত শিশু গুলোকে ভালোবাসো
আমি ওই শিশুদের জন্য কিছুই করতে পারিনি ,
ভালও বাসতে পারিনি কাউকে ।

ভালোবাসা কি এতই সোজা ?
যে চাইলেই কাউকে ভালোবাসা যায়!






বাসর সিরিজ-৩

জীবন
মহীতোষ গায়েন

এখন আমার জীবন হারায়
ঠগ-ঠগিনীর হাটে,
তখন আমার চাঁদ উঠতো
ভুবনডাঙ্গার মাঠে।

সন্ধ্যেবেলা বাসর সাজাই
সূর্য গেছে পাটে,
বিষাদ সুরে বাজছে সানাই
উজানতলির ঘাটে।





           তুমি নারী
      বাপন দেব লাড়ু


সেই মেয়েটা ! লোকে যাকে পাগলী বলে।
স্বাভাবিক নয় বলেই সামাজিকতা আজ সংজ্ঞাহীন;
অর্থের মায়া আর শরীরি আহ্বান নিরর্থক,
তবুও একদিন তাকে নিতে হয়েছিল কলঙ্কের দায় ভার।
একদল পৌরুষ আঙুল দিয়েছিল সাজা।
বাল্মিকী ও এড়াতে পারেনি সমাজ
সীতাকেও দিতে হয়ছিল প্রমাণ সতীত্বের।
কিন্তু কি দোষ ছিল সেই মেয়েটার?
সৃষ্টি মূলের সন্ধানে  উল্টে গেছিল  ইতিহাসের পাতা।
তাই সে আজ কলঙ্কীনি বটে।
এও কি শুধুই তার দোষ?
এরকম  অসংখ্য ইতিহাস এড়িয়ে গেলেও
ছেঁড়া ছেঁড়া ভাস্কর্যের ভেতরে ভেতরে
লুকোনো থাকবে সৌন্দর্য তোমার
মুগ্ধতার প্রতিলিপি হয়ে তুমি নারী।
স্বাক্ষী হয়ে থাক, পুরোনো প্রমান ;
সৃষ্টি-সারণী দিয়ে খুঁজে গেলে
পাওয়া যাবে নিশানা পাথর,
ঠিকই বুঝবে একদিন এই সমাজ
এ ইতিহাস গৌরবের নয়।





    কোথায় মাতৃভাষা 
        আব্দুল রহিম


বুকের তরতাজা রক্ত ক্ষরণে এসেছে
মোদের প্রাণের এ বাংলা ভাষা
কিন্তু আজ'কে কি বাঙালি ভুলে গেছে ?
কলঙ্ক ইতিহাসের সে ভয়াবহ পাতা
তবে কি আজ সালাম রফিক বরকতের রক্ত মিথ‍্যা ?

আজ বাঙালিকে গ্রাস করেছে আধুনিক সভ‍্যতা
তাই কিছু আর বেচেঁ নেই বাংলা ভাষার স্পর্শতা
আজ দেশ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে শত শত জাতি
কোথায় বাঙালি কোথায় বাংলার সংস্কৃতি
কজন বলে মোরা বাংলা ভাষাকে ভালোবাসি।।

কিন্তু মনে রাখা দরকার বাংলা ছাড়া
বাঙালির সুখের জীবন  হাহাকার
মোদের বাংলা ভাষা স্বপ্ন দেখায়
মোদের বাংলা ভাষা বাঁচতে শেখায়
কিন্তু সব আবদ্ধ স্মৃতির জরাজীর্ণ পাতায়।।

আজ আর নেই নবজাতকের প্রথম ডাক মা
আজ আর নেই কাজী রবি বিবেকের কালি
আজ আর নেই দাদা দাদু বাবা মা নামের শব্দ
আমরা সবাই সভ‍্যর আড়ালে ভয়ঙ্কর বিপদ গ্রস্থ
তাই  চল চল এগিয়ে চল ২১-এর ভাষা দিবসে।।




         মরণ
  জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

এরপর সেই দিনটাও এলো
কীভাবে যেন টুকুস করে দরজার ওপারে

ভূমিকম্পের লাইন প্রায় টেটের লাইন
আমি হটলাইনে সোজা ল-ক্লার্ক চিত্রগুপ্ত।
বলি,স্যার আমার টিকিট!
চিত্র স্যার বলেন,স্যার নয় বৎস,বলো মহাশয়।
মুখ বাঁকাই,হাইকোর্টের জজও স্যার আর উনি!

ব্যাজার মুখে তিনি বলেন,ধম্মকম্মো তো কিছুই করোনি!
কোনও পুণ্যি নাই,নরকবাস।বলেই তিনহাত লম্বা ফর্দ
দেখে কীসব হিসাব করে রায় দেন,প্রথমে দর্শন নরক
তারপর ভোগ নরক।চল্লিশ বছর চামচাগিরি বলে দেয়
প্রথমে দেখে শেখো পরে গ্ল্যাডিয়েটর হও।
যমরাজের কুমিরচোখ একবার দেখেই বন্ধ।

দু চার দিন বেশ কাজকম্মো নেই ঘুমিয়ে কাটাবো ভেবে
চিতপাত।কিন্তু ঘুম আর আসে না।নেতার প্রতিশ্রুতি হয়ে
সে যে কোথায় উধাও কে জানে!
নারকীয় শাস্তি দেখে আমি তো হেসেই খুন!
এ শাস্তি না পুরস্কার! পঞ্চাশবছর যা ভোগ করেছি......
এ তো স্বর্গ ছাড়া কিছুই নয়! চার যুগের কন্ট্রাক্ট চাই বলে
দুমদাম কয়েকটা লাথি মারতেই সত্যযুগের দরজা উধাও....






          হাত
    হামিদুল ইসলাম
                 

তোমাকে চেয়েছিলাম
আঁধার ভাঙা রাত
অঝোর ধারায় বৃষ্টি
অথৈ জল, ধরেছি তোমার হাত ।।

তোমার হাতের স্নায়ুতে উত্তেজনা
প্রতিক্ষণে বারবার
হারিয়ে যাচ্ছি আমি বৃষ্টির জলে
হিসেব নেই কো তার   ।।

হিসেবের খাতা এখন গরমিল
বুকের গভীরে শিহরণ
তোমার নিতম্বে হাত রাখি
এ হাত অন‍্য কোথাও করে না বিচরণ   ।।

প্রাণে প্রাণে গরমবোধ
হাতের বৃষ্টি হয়ে ওঠে জীবন
গরম বৃষ্টিতে স্নান করি দুজনেই
জলে জড়াজড়ি, জলরঙা দুনয়ন    ।।

অদৃশ‍্য এক সুতোর টানে
আজ হারিয়ে যাই কোথায়
তুমি আছো, ধরেছি তোমার হাত
কোনো বাধা নেই এ হাত যাক যেখানে যেথায়    ।।





 "অর্থের ফল"
    জুয়েল রূহানী

অন্তহীন সুখের ঠিকানায়
আবাস গড়বো বলে
ছুটে চলেছি অর্থ-বিত্ত-প্রাচুর্যতার পিছু,
পাইনি কিছু,
পেয়েছি শুধুই নিরস প্রানের কাতরতা!
যৌবনে যত স্বাদ-আহ্লাদ-
ছিল যত হাসি-তামাশা,
নানান রঙ্গের দিনগুলি সব-
কেড়ে নিয়েছে ঘোর অমানিশা!





2 comments:

  1. আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি
    আমার কবিতা কোথায় মাতৃভাষা কবিতাটি প্রকাশ করার জন‍্যে।।

    ReplyDelete