PravatiPatrika

Sunday, August 16, 2020

রবিবারেরপাতা

 শ্রেষ্ঠ স্বাধীনতা

আব্দুল রাহাজ  

আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা হয়েছি মুক্ত বেঁচে আছি স্বাধীন ভারতবর্ষের ভূমিতে।

দুশো বছরে লাঞ্ছনা-বঞ্চনা অত্যাচার সহ্য করে শত লড়াই করে কত শত মায়ের সন্তানের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা।

দুশো বছরের ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে আজ আমরা মুক্ত বাতাসে ভেসে আছি। সত্যিই আমাদের স্বাধীনতা বিশ্বের দরবারে চিরজীবন শ্রেষ্ঠ

 শ্রেষ্ঠ

যা শ্রেষ্টতম অধিকার করে আছে আজীবন।



স্বাধীনতা

সত‍্যব্রত ধর


৭৪তম স্বাধীনতার প‍্যাকেজ ঝনঝনিয়ে উঠতেই,

আঙ্গুলের ফাঁক গলে বেড়িয়ে গেলো দেশের শূন‍্যস্থান।

দেশপ্রেমিকদের পিঠে চাবুকের দাগে জমাট রক্ত-ছবি,

স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার পুরোনো গল্প শোনায়।

মুক্তির স্বাদ স্হান-কাল-পাত্র ভেদে ফ‍্যাকাশে হলেও,

জন্মভূমিই সেরা বলে চেঁচিয়ে মরে আম জনতা।

আমি রোদের লগ্ন ভেঙে মেঘ ডেকে আনার পাশাপাশি,

বৃষ্টির নরম  বাষ্পে কান পাতি স্বাধীন হবো তা



পার্থিব

কপিলদেব সরকার


আছেন, তিনি আছেন।

মানুষের কায়াপৃথিবীতেই আছেন, 

     কল্পিত পরলোকে নয়।


শ্রমে আছেন, স্বেদে আছেন,

কৃষকের খেদে আছেন,

সৈনিকের বুলেটে আছেন,

অরণ্যের আর্তনাদে আছেন,

আমাদের নিষ্ক্রিয়তায় আছেন,

সান্ধ্য বিনোদনে, ছদ্মকবিতায় আছেন,

অরাজনৈতিকতায় আছেন,

চিৎকৃত দেশপ্রেমে আছেন।


তিনি তো সর্বময়, সর্বব্যাপী

তাঁর অনেক নাম, অজস্র রূপ।

কিন্তু তাঁর ধর্ম, ও কর্ম

                                 - একটাই

নিরন্তর জল মেপে মেপে

বিপদের দাগ কেটে যাওয়া

  - আমাদের ধৈর্য্যের বাঁধে।




বর্ষা রাণী

-----সত্যব্রত চৌধুরী


রুণু-ঝুনু নূপূর পায়

মেঘলা রং শাড়ি গায়

হেরো ঐ আকাশ পথে

বর্ষা রাণী কেমন ধায় ।।


ধায় সে আপন মনে

পাহাড় মরু বনতলে।

পশ্চিমে বা পুব গগনে

তা থৈ নাচে সমতলে ।।


নূপূরের আওয়াজ মধুর

টুপ টুপ টাপুর টুপুর ।

রিম ঝিম ঝর ঝর ঝর

নাচে রাণী সারা দুপুর ।।


ঢেকে যায় রবির আলো

ছেয়ে ফেলে গগন জুড়ে ।

ভেকগুলি অথৈ জলে

গেয়ে চলে আপন সুরে ।।


তারই সুরে নাচে চাষী

ছোটে সে লাঙল নিয়ে ।

মুখে  তার  তৃপ্ত  হাসি

চষে  মাঠ  ফলা  দিয়ে ।।




পঞ্চক 

রঞ্জন চৌধুরী


১.

গন্বুজের শীর্ষে আছে যে প্রাকারের রঙ

তাকে আমি রোজ দেখি

                             দাঁড়িয়ে আছে

                             বেড়ার সুরক্ষা বেদিতে

যেন এক প্রপঞ্চক

যেন এক সঙ। 


২.

চোখ চুম্বকে আটকে আছে যে নদী

সে নদী উপমারহিত  কোন প্রবাহিনী নয়

সরীসৃপ স্বভাবিনী মাটির চন্দন মাখা

আমার প্রণয়িণী পাগলিণী। 


৩.

প্রবেশ আর প্রস্থান মাঝে

যে ফাঁক আছে চিলতে, একটি

বসে আছি সেখানে চুপটি


আর স্নান জড়ানো আঁচল খসা বধূটি

ঝিম ধরা দুপুরে ঢাকছে তার বুক দু'টি। 


৪.

বৃষ্টি আমায় প্রথম শোনায়

স্কন্ধকাটা ঝড়ের কথা


ঝিনুক হাতে 

মাঠ বিকেলের বৃষ্টিদিনের বৃষ্টি সেদিন

দাঁড়িয়ে ছিল পদ্মপাতায়। 


৫.

এক আকাশ চাঁদ ছিল রাতে

আঁজলা রঙের মোহের


রোদ উঠতেই দেখি

গড়িয়ে পড়া ছায়াটা তার

সুতোয় মোড়া দাঁড়িয়ে প্রবেশপথে ।


                       


মুজিব হতে চাই

নাসরাতুল হোসাইন নিশান 


আমার শরীরে বইছে শত বছরের বাঙালির রক্ত

তাই আমায় হতে হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ভক্ত।


আমায় হতে হবে তার মতো প্রতিবাদি

আমায় হতে হবে তার মতো দেশের প্রতি নিষ্ঠাবান,

আমি করি সংকল্প প্রত্যেক সকাল

এ দেশের জন্য বিলিয়ে দিবো নিজের জান।


কারণ শেখ মুজিব আমার প্রান,

কারণ হৃদয়ে আমার শেখ মুজিব।

হৃদয়ে আমার বঙ্গবন্ধু! 


আমি তার মতো বাঘের গর্জন দিতে চাই

আমি তার মতো দেশের জন্য প্রান দিতে চাই

আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে চাই।


মুজিব আমার দেহের রক্তে মিশে আছে

মুজিব আমার মধ্যে বেঁচে আছে,

মুজিব তোমার আমার সবার

সকলের মুজিব সকলের কাছে বাঁচে।


মুজিবকে করি আমি বারবার স্বরণ

মুজিবেতে আমার বেঁচে থাকা, মুজিবেতেই মরণ। 


আমি শুনেছি,

"রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব- 

এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।"

তোমার এই ধ্বনি শুনে মানুষ আজো চোখ ভেজায়

তোমার স্বাধীন দেশের মানুষ তোমায় ভেবে দিন কাটায়।


আমার  বঙ্গবন্ধু, আমি তোমায় চাই

আমার মনে তুমি, আমি মুজিব হতে চাই,

আমি জাতির পিতার সৈনিক হতে চাই।




অনুভবে

         মৃন্ময় ভট্টাচার্য্য 


যারা এনেছিল স্বাধীনতা 

সয়েছিল অকথ্য ব্যাথা,

বুঝিনা আমরা তা 

সম অনুভবে ,

কাটাই এ'দিনটা

হুল্লোড়ে, কলরবে !


নিজেকে উজার করে

জীবনটা বাজী ধরে 

আমাদের সুখ চেয়ে

হয়েছিল নিঃস্ব ।

আমরা ভোগের খোঁজে

মা-মাটি-দেশ ভুলে

পাড়ি দিই বিশ্ব !


আজ শহীদ পূজার দিন 

স্মরী সে ত্যাগের ঋণ,

যাদের বলিদানে

হয়েছি স্বাধীন ।


জয় হিন্দ ।



No comments:

Post a Comment