PravatiPatrika

Saturday, May 30, 2020

শুধুই কবিতা

হুজুর মিছা কথা নাই বইলব 
বিকাশ  দাশ  

হুজুর ই খাঁচাটর ভিতরে দাঁঢ়ায়
মিছা কথা নাই বইলব।
ই গীতাট ছুঁয়ে যা বইলব সোব সাচ বইলব
টুকুও পেঁদুয়া কথা নাই বইলব হুজুর।
চোদ্দ গুষ্টির কিরা খায়ে বলছি
আপনারা মানঅ আর নাই মানঅ।
হুজুর হামার নাম বুধন সদ্দার,  বাপের নাম জগা সদ্দার
গাঁয়ের নাম গোবিন্দপুর,  পুলিশ ফাঁড়ি - পুঞ্চা,  জেলা - পুরুল্যা
নামহ কুলহির পশ্চিম দিগে তাল বাগুড়ার ঘর।

শুনুন ধম্মাবতার,  বাপের কিরা খায়ে বলছি
হামার কনু দোষ নাই,  তাথেও যদি মালুম হয় হামি দোষী
হামকে ফাঁসিতে লটকাবেন।

শুনুন ধম্মাবতার ; ছুটুর ল্যে মাইয়ের মু দ্যাখি নাই
মালুমও নাই
ছুটুরল্যে ফুলকি পিসির কলে বড় হল্যম
ইতটুকুন ছা রাখ্যে মাই হামার মরল্য
তখুনের ল্যে ফুলকি পিসির কাছেই মানুষ হল্যম
ফুলকি পিসি হামার মাইয়ের পারা
উ কনুদিন আর বিহাট নাই করে
হামকে মানুষ করতে হবেক বল্যে।
উ পিসিটর কলে চাপে ই মুড়া - উমুড়া কত ঘুরেছি
লিজে না খায়্যে হামকে খাওয়ায়ছে
বাপ হামার কাড়া চরায় দুপহরে ঘর আইসথ।
গরিব ঘরে যা জুটথ তাই রাঁধে খাওয়াথ
ঢেঁকিতে ধান কুটে চাল করে মাটির হাঁড়িতে ভাত বসাথ
জল হিঁড়ে বিহানবেলায় সিনায় আইসথ
বাপ হামার কাঠ ফাঁড়ে খামারে শুকতে দিথ
কনুদিন মহুল পালহায় ভাত রাঁধথ।
হামার জ্বর হল্যে কপালে জল পটি দিথ
সারারাইত চ্যখে চ্যখ করে নাই
সেই মাইয়ের পারা পিসিটকে লকে ডাহিন বললে মান্যে লিতে লারথম আইজ্ঞা।

টুকু মন দিয়ে শুনুন ধম্মাবতার
পাড়ার ফইকরা সদ্দারের বেটাটর জ্বর আল্য
সোব লকে বইলতে লাইগলেক - " ইটা ফুলকির কাজ। "
গাঁয়ের মড়ল বইললেক- " উয়াকে আটচালায় নিয়ে আয়, বিচার হবেক। "
কন দিগেরলে জনকতক কাল হুঁদহুঁদিয়া বয়ার কাড়ার পারা জুমঢ়া মরদ আস্যে
টানে হিঁচুড়ে আটচালায় লিয়ে গেল।
যে হাতটয় ফুলকি পিসি হামকে খাওয়াথ
হুজুর সেই হাত দুটাকে খামের পিছন দিগে বাঁধল।
তাপর শ খানেক ডাঙ্ঘে করে ডাঙ্গুরাল্য
ফুলকি পিসি কত চেঁচাল " হামকে মার না ; হামি ডাহিন লই ; হামি ডাহিন লই। "
ধম্মাবতার সোব লকের ছামুতে
হামার মাইয়ের পারা পিসিটকে কাপড় খুল্যে ল্যাংটা করে মাথা ন্যাঢ়া কইরে দিলঅ
কত আঝাট- পাঝাট দিলঅ হুজুর
মরার পারা পিসিটকে কলে করে ঘরে আনলম
তার টুকু পরেই মইরে গেল হামার পিসিট
হামকে মাই হারা কল্য হুজুর।

শুনুন ধম্মাবতার ; হামার রাগট খরিশ সাপের পারা ফঁসফঁস করে উঠল
উ রাতেই হামি মড়ল বদনা খুড়াকে টাঙি দিয়ে ঘাড়েরলে মাথাট নামহায় দিয়েছি।
হুজুর যে মড়ল মাইয়ের ইজ্জত বুঝে নাই
লকের ছামুতে ল্যাংটা করে
চারদিগে কত মাইয়া লককে ডাহিন বলে লির্যাতন করে মারছে
উয়াদেরও বাঁচার অধিকার নাই।
দ্যাশ ইত আগুয়াছ্যে,  সিঠিনে ডাহিন আইসবেক কনদিগের ল্যে?
আপনি বলুন হুজুর -
ছায়ের ছামুতে মাইকে কনু লকে ল্যাংটা করলে,  কন বেটায় মান্যে লিবেক?
  হাপনি মান্যে  লিবেন আপনার মাইকে ল্যাংটা করল্যে
বলেন আইজ্ঞা হাপনি মান্যে লিবেন?

ধম্মাবতার ইটা শুনহে যা সাজা দিবেন মান্যে লিব
বাপের কিরা বলছি হুজুর
ই কাটগড়ারলে নাই নামভ।
হুজুর হামার আর কন বলার নাই
কিন্তুক হামার মাইয়ের পারা ফুলকি পিসি ডাহিন লয় হুজুর
হামার ফুলকি পিসি ডাহিন লয়।
হামকে ফাঁসিতে লটকালেও হামি গলা ফাঁড়ে বলইলব
ফুলকি পিসি ডাহিন লয় ধম্মাবতার।



    ইটা কনু সুখের সময় লয় 


" ইটা কনু সুখের সময় লয় হ্যে
ইটা কনু সুখের সময় লয়,। "
দুখের ডুংরি ডিঙ্গায় যিমন
দু-চ্যখে লদী বয়।
কতেক সুখে কতেক দুঃখে
আশা লিয়ে বুক বাঁধি
মরা ছায়ের সুহাগ লিয়ে
পা ছ' ড়ায় লিতই কাঁদি।
চুপ মারে সোব জুয়ান গুল্যান
আর কতক সবুর সয়?
ইটা কনু সুখের সময় লয় হ্যে
ইটা কনু সুখের সময় লয়।

দ্যাবতা নকি বাঁচে আছেক
ত ক্যামনে ইমন হয় দশা?
রকত ঢাল্যে ফসল ফলাই
গতর লিয়ে লাঙ্গল চষা।
খাটেও ক্যানে খাবার নাই
কি জানি ক্যামনে ইমন হয়?
ইটা কনু সুখের সময় লয় হ্যে
ইটা কনু সুখের সময় লয়।

ঝুপড়ি ঘরে জোসঠার আল্য
ছায়ের পারা হাসছ্যে
যিমন লইতন বউ মরদটাকে
বেদম ভাল্য বাসছে।
বইশাগ মাসের চ্যাঁদড় রদে
ফাটে গ্যাছে মাটি
পাহাড়ের পারা দুখ্যু লিয়ে
কি করে কাল কাটি।
কাঁসাই লদী শুয়্যে কাটায়
কনু কম্মের লয়।
ইটা কনু সুখের সময় লয় হ্যে
ইটা কনু সুখের সময় লয়।

আগুন জ্বলে মনের ভিতরে
যিমন মাদল্যে তাল দিছ্যে
মরব ; না হয় মারব ইবার
নাহ্ লে বাঁচা মিছ্যে।
কাঁড় বাঁশ আর টাঙি গুল্যান
তেমন কথাই কয়।
ইটা কনু সুখের সময় লয় হ্যে
ইটা কনু সুখের সময় লয়।।



    একটাই আবেগ
    সৌমিত্র চ্যাটার্জী

একটাই আবেগ
মাটির গভীর থেকে উঠে আসে
তারপর মেধাবী চরিত্রহীন
একটা সচল বিন্দু
খালি চোখে অদৃশ্য
চোখ ভরে গেলে ঝাপসা, অন্তিম

গাছের কোটরে সংসার, পর্দানসীন
নদী এসে ছুঁয়ে যায় বহমান সম্পর্কের মত
ধ্বংসের গায়ে প্রোথিত প্রথম প্রস্তরযুগ

একটাই আবেগ
জন্মের আগে থেকে যায় প্রজন্মের রেশ...


মৌমাছি আর পাখি

ঐ খানে যে মৌমাছিটি বসে আছে
ওকে আমি চিনি
প্রতিদিন আসে আমার পাশে পাশে
ওর সংসারের সব কথা আমি জানি
শুনেছি সেসব রূপকথা
ওদের বুকে যে শুধুই মধু  
সেখানে নেই কোন শূণ্যতা  

যে পাখিটা প্রতিদিন ছাদের কানাচে এসে বসে
ওর দুঃখ আমি জানি
ভুলতে পারেনি আজও ঘর ভাঙার অভিশাপ
কথা বলি,  বুকে মেখে রাখি ওর পাঁজরের অনুতাপ
তুলতুলে বুক কেঁপে কেঁপে ওঠে জমে থাকা বিষাদে
বেলাশেষে উড়ে যায়, জানিনা কোথায়
ফিরে যেতে যেতে শিস দিয়ে কাঁদে...



পঞ্চ হাইকু (বিষয় নারী)) 
   ডঃ রমলা মুখার্জী

১ 
        রাতের তারা
        নারী লাবণ্যময়ী,
        মিষ্টি প্রেমিকা।
        দুহিতা, জায়া,
        স্নেহময়ী জননী,
          নারী কল্যাণী।
         নারী প্রকৃতি
      ভ্রূণ সৃষ্টিকারিণী
          রমা,পরমা।
৪    
         কন্যারা রত্ন, 
        নয় ছলনাময়ী।
          সে দেবী দুর্গা।
           মমতাময়ী
          অপরূপা অনন্যা
           অভয়া কন্যা।



      বিপর্যয়ের বিশ
     মৃত্যুঞ্জয় হালদার    

বিপর্যয়ের বিশ দেখি অহর্নিশ
দিকে দিকে সর্বনাশ
এযে ঘোর কলি করে গলাগলি
কতশত ভাইরাস!

বিপদের বিশ করে ফিসফিস
আমাদের আশপাশ
কে যে কোন ফাঁদে দিন রাত কাঁদে
অশান্তিতে করে বাস।

বিকলাঙ্গ বিশ ঢালে কত বিষ
কত শত প্রাণ মাপে
বড় অগোছালো জীবন আজ জোলো
অসময়ের অভিশাপে!!


                    সম্ভাবনা
                   মিঠুন রায়

 স্বপ্নের উচ্ছাসে ঘুম ভাঙে আমার 
দেওয়ালে বসে কিছু জোনাকি আলোর বার্তা দেয়।
দগ্ধতার মাঝেও একরাশ আলোর গন্ধে ভরে উঠে মন
সবুজ পাতার শ্যামলী আভায়  ক্ষীণ হয়ে আসে ধ্রুবতারা।
সময়ের উল্কাপিণ্ড তবু খসে পড়ে হৃৎপিন্ডের মাঝখানে,
শুধু ক্যানভাসে ফুটে ওঠে পুরাতন প্রেমের আলতো ছবি।
ভ্রাম্যমান শুকতারা যেন অপেক্ষা করে মৈথেলীসুর শোনার জন্যে ,
নগ্ন পৃথিবীও একদিন ফলপ্রসব করবে গর্ভযন্ত্রণার শেষে।
            

                
          মা মা মা 
      সম্রাজ্ঞী কোনার

ভেঙে যাক কলম , জ্বলে যাক কাগজ ।
মরে যাক কবি , মরে যাক লেখক।
রূদ্ধ হয়ে যাক কন্ঠ , স্তব্ধ হয়ে যাক মন ।
মরে যাক গায়ক, মরে যাক দর্শক।
অন্ধ হয়ে যাক আঁখি , নিস্পন্দ হোক হৃদয়।
মরে যাক বুদ্ধিজীবী , মরুক বিদ্যাজীবী ।
ধসে যাক প্রাসাদ , ডুবে যাক গুদাম ।
শোষিতের চিতা জ্বলার আগে জ্বলুক শোষকের চিতা।
মরে যাক নেতা , মরুক অভিনেতা ।
শাসিতের চিতা জ্বলার আগে জ্বলুক শাসকের চিতা।
পবিত্রতমদেহের শেষের আগে হোক পাপীদের বিনাশ।
আর একজনও মায়ের মৃত্যু দেখার আগে 
এই রাষ্ট্রের মৃত্যু হোক ।


                আজকে
 - অগ্নিমিত্র ( ডঃ সায়ন ভট্টাচার্য)

আজ আর লিখবো না কোনকিছু;
ঐ বিরাট বটগাছের ছায়ায় 
দু- দন্ড একটু বসবো ...।
বয়ে যায় সময় নাকি 
স্রোতস্বিনীর মতো
সেই চলে যাওয়া সময়কে একটু দেখবো ।...
পাখিদের কলতানে একটু কানটা জুড়োবো!...
 ঐ ঝিলটার জলরাশি দেখে
তোমার কথা মনে করবো ।
হয়তো কোনো অচেনা পথে
যেতে যেতে তুমিও 
বসেছো কোনো তরুতলে ...;
 সময়টাকে চলে যেতে দেখছো ...।
তাই আজ কিছু লিখবো না 
মনে মনে ছবি আঁকবো 
এই নীরবতার, এই যাওয়া আসার ...



                  মেঘমিতা
               ঈশিতা চৌধুরী

এখানে  বসন্তে, আগুনজ্বলা মন অশান্তে,
একাকার আলো ধোঁয়া পাহাড়, 
দাবানলের আগ্রাসী তীব্র প্রতিবাদে মুখর যেমন  হৃদয়পুর,
ভালোবাসার অবিশ্রান্ত বর্ষণে 
অতলান্ত আঁখি অর্ণব তেমনই  দূর,বহুদূর ......
এভাবেই আকাশে প্রবাসে একরাশি কবিতাঘন মেঘমিতা, 
তোমাকে ছুঁয়েছে কিছু মনকাড়া অভিলাষী ভাষা,
আমার চোখেতে আঁকা অনুভবের সম্পূর্ণ সে সঞ্চয়িতা!!


                       প্রার্থনা 
               বিশ্বজিত মুখার্জ্জী

মাতৃবিয়োগের যন্ত্রণা বোঝেনা দুধের অবোধ,
জাগ্রত নয় বুদ্ধিবৃত্তি সুপ্ত তার বোধ।
বালখিল্যে আঁকড়ে ধরে বাছা মাতার আঁচল,
অগোচরে খোঁজে অবলাশিশু স্নেহে ভরসার কোল।
নিয়তির মৃত্যুদূত মাতারে বেঁধেছে নাগপাশে,
অবোধ মাতারে পেতে চায় স্নেহের পরশে।
সন্তানের অজানা কি লেখা তার কপালে?
ভগ্নজীবন ডোবে সংসারের জটিল আবর্তের বেড়াজালে।
নিষ্ঠুর নিয়তির, এটাই নির্মম কঠিন পরিহাস,
যুগেযুগে নিয়তি গড়েছ মানবের  বিষাদের ইতিহাস।
ইতিহাস বহমান আপন ধারায় নিজ্ স্রোতে,
মানব জীবন চালিত হয় অদৃষ্টের হাতে।
খন্ডিত হয় না ওদের ললাট লিখন,
এসো প্রভু,ধরায় রোধ কর অকাল মারণ।


     সমাজের অবক্ষয়ে  
       নিতাই চন্দ্র দাস (তমাল)

যুগের বংশানুক্রমের সম্প্রসারণে–
ফিরে দেখা একবিংশ শতাব্দীর ছায়াতল!
সমাজটা দুর্নীতির আশ্রয়ে।
দিনেদিনে বেড়েছে সামাজিক মূল‍্যবোধের অবক্ষয়।
বেড়েছে সাম্রাজ‍্যবাদ, সন্ত্রাসবাদের রমরমা।
বিশ্বজুড়ে রাবনের চিতার পোড়া গন্ধে–
আকাশ দেখাচ্ছে ধূসর।
তদ্রুপ কালো ধোঁয়ার প্রাচুর্য‍্যতা
ছড়িয়েছে হুঙ্কার।
জাতীয় সংস্কৃতি, সামাজিকতা অবলুপ্ত।
যুবসমাজ , কর্মসংস্থান, পরিনত ধ্বংসস্তূপে।
ক্ষুধার্ত প্রাণের অস্তিত্ব ক্রমবর্ধমান।
বিশ্ব সামাজিক অবক্ষয়ের আত্মগ্লানি মুছে,
কখনও ফিরবে কি মহাজাগতিক ভাস্কর?

                   
          অবগাহন
   ডাঃ তারক মজুমদার

জেনারেশান গ্যাপ যেন আজ 
বিচ্ছেদ দুটি সাঁকো----। 
রক্ত স্রোতের পাতায় সূর্যের উত্তাপ। 
দুর্গম পথ কবিতার খাতায় নক্সিকাঁথা। 
ধূর্ত শিয়ালের সমস্বরে চিৎকার,
কুয়াশার চাঁদর অবশেষে পরাজিত। 
নবতর কিছু সংস্কার ঝুলে থাকে
খাঁড়া  হয়ে---। 
প্রতিদিন  চলো সংস্কার সাগরে 
অবগাহন  করি পালাকরে---। 



       সর্বহারা 
         শ্রীমতী তারা ভট্টাচার্য 

হারাতে হারাতে হারাচ্ছে সব
ধৈর্য আঁকড়ে থাক
বিগত কর্মে ভাগ্য এমন
ভগবানকেই ডাক
দিনমজুরের  বিপন্ন প্রাণ
থিদেকেই শুধু চেনে
ভগবান নিয়ে মাথা ব্যথা নেই
সত্য গেছে যে জেনে
দুঃসময়ের ঝটিকার রণে
তারা শুধু ঝরা পাতা
দেনা পাওনার হিসেব মেলেনা 
শূন্য জীবন খাতা...



ঘুয়েছে ঝাউপাতা
          শেখ মনিরুল ইসলাম

ঘুয়েছে ঝাউপাত
সমুদ্রের অন্তর ঘেঁষে
দেখতে হলে যেতে হবে
দীর্ঘার প্রান্ত দেশে। 

শিকড় আঁকড়ে ধরে
ঝাউ করেছে বিস্তার
ঐ ছায়ায় গেলে পরে
পাবে তুমি নিস্তার। 

কত স্নেহ করবে তারা
নেবে আপন করে
ভালো-বাসার ফুল ছড়িয়ে
দিবে দু-হাত ভরে। 

বিদায় বেলায় জানাও 
যদি হাজার কামনা
ঝাউয়ের হাওয়া 
তখন দেবে মনে বেদনা। 

সূর্যদয়ের সাথে,যদি হাওয়া চাও
 কেন দেরি ,শিগ্রী তবে দীঘা যাও।



      স্মৃতি  
হামিদুল ইসলাম।

গ্রাম থেকে শহর 
অসংখ‍্য গিরিখাত 
সমুদ্রে জোয়ার এখন 
তবু পাড়ি দিই রাত   ।।

পেরিয়ে আসি এপারের আকাশ 
কৃষ্ণচূড়া গাছ 
মৃত‍ শহর ঘুমোয় 
ভোরের সূর্য খাঁচাবন্দি আজ   ।।

চলে আসি চড়াই উৎরাই পথ 
মাথার উপর অভূক্ত আকাশ 
সাপের মতো লেপ্টে থাকে 
শিশির ভেজা কাশ   ।।

তুমি তবু দাঁড়িয়ে থাকো 
বাড়িয়ে দাও হাত 
তোমার ভালোবাসা প্রতিদিন স্বর্গ ছুঁয়ে যায় 
স্মৃতিগুলো নিখাঁত   ।




4 comments:

  1. Mind blowing
    Every poem is fantastic.
    Salute to every poet from my deep heart.

    ReplyDelete
  2. বিকাশ দাশের আঞ্চলিক কবিতাদ্বয়
    সামাজিক অন্ধত্ব ও চিরান্নহীন কৃষকের মূল সমস্যায় আলোকপাত করেছে। কবিতাদ্বয়ে গল্পকবিতা প্রকটিত। যেমনটা জসিমুদ্দিনের 'কবর' কিংবা অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের 'ছন্নছাড়া' কবিতায় দেখেছি। সৌমিত্র চ্যাটার্জীর আবেগ জন্ম থেকে জন্মান্তরে প্রবাহিত হয়ে চলুক। তাঁর দ্বিতীয় কবিতাটি পড়তে পড়তে কেবলই মনে পড়ে যাচ্ছিল শঙ্খ ঘোষের 'একলা' কবিতার কথা। ডঃ রমলা মুখার্জীর হাইকুগুলিতে নারীত্বের গুঞ্জরণ।
    মৃত্যুঞ্জয় হালদারের কবিতায় ২০২০ সালের নানান অভিশপ্ত ক্ষণ কীভাবে মানুষের জীবনকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে, তারই ইঙ্গিত। মিঠুন রায়ের কবিতায় অন্ধকারের কথা যেমন আছে তেমনই আছে আলোর হাতছানি। আশাবাদ আছে। সম্রাজ্ঞী কোনার ও বিশ্বজিত মুখার্জীর কবিতায় রেলস্টেশনে অসহায় শিশুর মৃত মা'কে জাগানোর শোক বাঙ্ময় রূপলাভ করেছে। ডঃ সায়ন ভট্টাচার্য না লেখার অঙ্গীকার করেও যা লিখে ফেলেছেন তাতে সময়ের গতায়াত ক্যানভাসে চিত্রিত হয়েছে। ঈশিতা চৌধুরীর কবিতায় বৃষ্টি ও প্রেম মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। ভালোবাসার বর্ষণে হৃদয়ের দাবানল নিভে যাবেই। নিতাই চন্দ্র দাসের কবিতায় যুগ-যন্ত্রণার অভিঘাত, ডঃ তারক মজুমদারের কবিতায় সংস্কারের ঈপ্সিত অবগাহন, শ্রীমতী তারা ভট্টাচার্যের কবিতায় করোনা বিপর্যস্ত ভারতবর্ষের পরিযায়ী শ্রমিকদের সব হারানোর বেদনা। শেখ মনিরুল ইসলামের কবিতায় ভ্রমণ সুখ বিলাসী দীঘা আমন্ত্রণ পাঠায় ঝাউপাতায় পত্র লিখে। হামিদুল ইসলামের কবিতায় অতীত স্মৃতি সুখ রচনায় স্বর্গীয় পবিত্রতা। এককথায় খুব আনন্দ পেলাম। এরপরেও দু'একটি কথা বলার আছে। যেমন হামিদুল ইসলামের কবিতার শেষ পঙক্তিটি নিয়ে। বিশেষত 'নিখাঁত' শব্দটি সম্পর্কে। কবি কি 'নিখাঁত'ই বলতে চেয়েছেন, না 'নিখুঁত/নিখাদ'। একইভাবে যেমন শেখ মণিরুল ইসলামের কবিতার শেষ পঙক্তিটি নিয়ে। বিশেষত 'শিগ্রী' শব্দটি সম্পর্কে। কবি কি সচেতনভাবেই 'শিগ্রী' বলতে চেয়েছেন, না 'শীঘ্রই/শিগগিরই'। আবার একইভাবেশ্রীমতী তারা ভট্টাচার্যের কবিতায় বিশেষত 'থিদেকেই' শব্দটি সম্পর্কে। কবি কি সচেতনভাবেই 'থিদেকেই' বলতে চেয়েছেন, না 'খিদেকেই/ক্ষুধাকেই'।একইভাবে নিতাই চন্দ্র দাসের কবিতায় 'বিশ্বজুড়ে রাবনের চিতার পোড়া গন্ধে–' পঙক্তিটি। 'রাবনের চিতার ' পরপর দুটি সম্বন্ধ পদের ব্যবহার।
    বিষয়টিতে কবির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কবি ঈশিতা চৌধুরীর প্রতি আমার আন্তরিক আবেদন আপনি চরণান্তে যে একাধিক বিন্দু (যেমন - ..........), তা ব্যবহারের একটি সঠিক পদ্ধতি আছে। সঠিক পদ্ধতিটি ত্রিবিন্দু(...)। তিনের বেশিও নয়, কমও নয়। কবি মৃত্যুঞ্জয় হালদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি কবিতার শেষে দু'বার বিস্ময়বোধক চিহ্ন (!!) ব্যবহার বিষয়ে। এর কি আলাদা কোনো গুরুত্ব আছে। একটু যদি আমায় এবিষয়ে সাহায্য করেন, উপকৃত হই। সকল কবিকে আমার প্রাণভরা শুভেচ্ছা। সজ্ঞানে কাউকে আঘাত করতে চাইনি। তবু যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার মতো একজন অপরিচিত,অনামি অকবির সৃষ্টিকে প্রভাতী পত্রিকায় স্থান দেওয়ার জন‍্য সম্পাদক মণ্ডলীকে অশেষ ধন‍্যবাদ জানাই।

      Delete
  3. বর্তমান সময়ে আমরা বড় বিস্ময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি । তো সেই বিস্ময়ের ব্যাপকতা বোঝাতে আমার এই দুবার !! চিহ্ন ব্যবহার করা। ধন্যবাদ।

    ReplyDelete