উষ্ণতা
নন্দিতা মিশ্র
তোমার হৃদয়ের উষ্ণতায় মোমের ন্যায় গলে যাই আমি।
তোমার ওই উষ্ণ হৃদয়ে আমার স্থান ছিল বহু দামী।
শীতের রুক্ষতায় তাই হৃদয়ে নব কিশলয় উম্মিলিত আজ।
আমার ললাটে তাই আজ ফাগুনের রক্তিম লাজ।
রোমশ বুকে প্রচণ্ড শীতে শীতার্ত সর্পের ন্যায় আশ্রয় আমার।
তোমাতে হারাতে আমি শত বর্ষে পরেও জন্মাব আবার।
টুম্পা মুখার্জি র অনুকবিতা
১)
অন্ধকার ভেঙে ভেঙে
সিড়ি বেয়ে উপরে ওঠা
প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি,
দরবারী রাগ শোনায়
অতীতের সানাই সহযোগে।
২)
অসহায় বন্দিত্ব,
অবিরাম ঝড়ের মাতন,
বৃক্ষের মৃতদেহর মিছিল,
ক্রীড়নক মানুষের ধ্বংসের ডাক
সম্রাট প্রকৃতির আস্ফালনে।
৩)
ঝিঁঝিঁর আবাহন সঙ্গীতে
খদ্যোত আজ রূপসী নাচনী।
অন্ধকার ক্যানভাস
নেশা ধরায় প্রাচীনের।
৪)
ফিরতে হবে সবার,
বিবেকের শ্মশান ভূমিতে
অথবা মনুষ্যত্বের কবরস্থানে,
নিজেকে নতুন করে জন্ম দিতে।
অগ্নিশ্বাস
সোমনাথ বেনিয়া
গুণ চিহ্নে হ্যাঁ রেখে বলি ভালো হোক প্রিয়
হাত সরিয়ে নিলে সহজ অনেক কিছু ...
নিজের শূন্যস্থানে ঘুরে কী পেয়েছো?
প্রয়োজন ফুরালে পথের শেষ, পূর্ণচ্ছেদ
শরীর থেকে তিল খুঁটলে ছায়ায় ফোটে রক্তকণা
বিচ্ছেদ মানে বিষাদ নয়, অপরিহার্য অগ্নিশ্বাস!
নিরুদ্দেশ
ঋতুপর্ণা সিনহা
কালো রাতের পাঁজরে বিষণ্ণতার কাজল,
তবু যেন অদৃশ্যে ছড়ানো মায়ার আঁচল।
ভাঙা চাঁদের নৌকো গিয়েছে খোয়া তিতিরের তীরে,
চেনা শুকতারা হারিয়েছে আলো ভিনদেশিরা ভীড়ে
রেখা
রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ
সমস্ত কৌশল মুছে গেলে
আগ্রহ জেগে উঠে
আগামীর মূর্ছা ধ্বনিতে...
লিখতে গিয়ে সান্ধ্য ঘুমে পুষছি
ধারাপাতের বিবর্তিত রেখা।
কুস্তিতে তখনো নতুন স্বপ্ন বুনে বুনে
ঘরকুনো তুমুল ছায়ার প্রজন্ম...
প্রশান্ত মাইতির অনুকবিতা
১)
ছাপ
এখনো ছড়িয়ে রয়েছে পথের বাঁকে
অজস্র পায়ের ছাপ
চেনা যায় কিছু আমার প্রিয়জনের
এ ছাপ তোমার চৈতালি
ঘুরতে যাওয়া হাইহিল পড়া জুতোর
সেছাপ স্পষ্ট জোনাকির রাতের আলোয় ।
২)
জ্যোৎস্না স্নান
জ্যোৎস্নার স্পর্শে ভিজছে হৃদয়
ওপার থেকে হেঁটে আসছে বিষণ্ণতা
কুয়াশার হাত ধরে নামা সোনালী
ভোরের আলোয় ধুয়ে যায় মনখারাপ
আকাশের পাখি নিজের খেয়ালে
বাতাসের ক্যানভাসে আঁকে জলছবি
তুমি আসবে,তাই আমি জেগে
সারারাত ভিজি জ্যোৎস্নাস্নানে ।।
৩)
নেভাতে পারোনি আজও
কেনো ভাসালে আমায় অথৈ নদীজলে
আমায় ভাসিয়ে খুঁজছো দিব্যি
বালি হাতরে ঝিনুক মুক্ত
হতাশায় মন মাথা কুঁড়ে অন্ধকারে
দেহ কাতরায় শুয়ে দুঃখ শোকে
বুক ভরা স্মৃতি ভিড় করে
একে একে একাকিত্বের চৌকাঠে
গুমরে মরি তুষের আগুনে জ্বলে
যে আগুন তুমি নেভাতে পারনি আজও ।।
অনুকবিতা
প্রাপ্তি মুখোপাধ্যায়
আগুন নেভাতে বৃষ্টি আসুক--
মাটিও চায় না আর।
জ্যোৎস্না, তোমার চাতক-হনন
শেষ হওয়া দরকার ...
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় এর অনুকবিতা
১)
প্রতীক্ষা অন্তহীন
জবরদখল হয়েছে সুখী মরশুম
বিষণ্নতার দিনগুলি উজ্জ্বল জিরাফের
চোখে বালিশ ভেজায়...
২)
দেরাজে রঙিন হাওয়া
সাদাকালো প্রতিপক্ষ
টিপছাপ দিয়ে ফিরছে চাবির গুচ্ছ
বেলঘরিয়া ফ্লাইওভার..
কাতাউতা
প্রনব রুদ্র
১।
লুকানো প্রেম
পরকীয়াও হয় যা
লোকে মন্দ বলে তা।
২।
তুমি আমির
ভালোবাসা গল্প
কানাকানি বাতাসে।
৩।
শেকল মনে
৪দিক শূন্য লাগে
সে আজ অন্য ঘরে।
৪।
ফুলের মধু
মিষ্টি অতি স্বাদে
বুকে তোমার মাথাও।
৫।
তুমি আসবে
অপেক্ষা প্রতি পলে
মন রাঙা ময়ূরী।
শুভেন্দু ঘোষ এর অনুকবিতা
১)
জীবনটা নিজের।
শুধু যোগ্যতা থাকে প্রমাণের...
২)
আর তার পিছুটান নেই,
আজ সে সকলের আকাশে মুক্ত পাখি...
নন্দিতা মিশ্র
তোমার হৃদয়ের উষ্ণতায় মোমের ন্যায় গলে যাই আমি।
তোমার ওই উষ্ণ হৃদয়ে আমার স্থান ছিল বহু দামী।
শীতের রুক্ষতায় তাই হৃদয়ে নব কিশলয় উম্মিলিত আজ।
আমার ললাটে তাই আজ ফাগুনের রক্তিম লাজ।
রোমশ বুকে প্রচণ্ড শীতে শীতার্ত সর্পের ন্যায় আশ্রয় আমার।
তোমাতে হারাতে আমি শত বর্ষে পরেও জন্মাব আবার।
টুম্পা মুখার্জি র অনুকবিতা
১)
অন্ধকার ভেঙে ভেঙে
সিড়ি বেয়ে উপরে ওঠা
প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি,
দরবারী রাগ শোনায়
অতীতের সানাই সহযোগে।
২)
অসহায় বন্দিত্ব,
অবিরাম ঝড়ের মাতন,
বৃক্ষের মৃতদেহর মিছিল,
ক্রীড়নক মানুষের ধ্বংসের ডাক
সম্রাট প্রকৃতির আস্ফালনে।
৩)
ঝিঁঝিঁর আবাহন সঙ্গীতে
খদ্যোত আজ রূপসী নাচনী।
অন্ধকার ক্যানভাস
নেশা ধরায় প্রাচীনের।
৪)
ফিরতে হবে সবার,
বিবেকের শ্মশান ভূমিতে
অথবা মনুষ্যত্বের কবরস্থানে,
নিজেকে নতুন করে জন্ম দিতে।
অগ্নিশ্বাস
সোমনাথ বেনিয়া
গুণ চিহ্নে হ্যাঁ রেখে বলি ভালো হোক প্রিয়
হাত সরিয়ে নিলে সহজ অনেক কিছু ...
নিজের শূন্যস্থানে ঘুরে কী পেয়েছো?
প্রয়োজন ফুরালে পথের শেষ, পূর্ণচ্ছেদ
শরীর থেকে তিল খুঁটলে ছায়ায় ফোটে রক্তকণা
বিচ্ছেদ মানে বিষাদ নয়, অপরিহার্য অগ্নিশ্বাস!
নিরুদ্দেশ
ঋতুপর্ণা সিনহা
কালো রাতের পাঁজরে বিষণ্ণতার কাজল,
তবু যেন অদৃশ্যে ছড়ানো মায়ার আঁচল।
ভাঙা চাঁদের নৌকো গিয়েছে খোয়া তিতিরের তীরে,
চেনা শুকতারা হারিয়েছে আলো ভিনদেশিরা ভীড়ে
রেখা
রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ
সমস্ত কৌশল মুছে গেলে
আগ্রহ জেগে উঠে
আগামীর মূর্ছা ধ্বনিতে...
লিখতে গিয়ে সান্ধ্য ঘুমে পুষছি
ধারাপাতের বিবর্তিত রেখা।
কুস্তিতে তখনো নতুন স্বপ্ন বুনে বুনে
ঘরকুনো তুমুল ছায়ার প্রজন্ম...
প্রশান্ত মাইতির অনুকবিতা
১)
ছাপ
এখনো ছড়িয়ে রয়েছে পথের বাঁকে
অজস্র পায়ের ছাপ
চেনা যায় কিছু আমার প্রিয়জনের
এ ছাপ তোমার চৈতালি
ঘুরতে যাওয়া হাইহিল পড়া জুতোর
সেছাপ স্পষ্ট জোনাকির রাতের আলোয় ।
২)
জ্যোৎস্না স্নান
জ্যোৎস্নার স্পর্শে ভিজছে হৃদয়
ওপার থেকে হেঁটে আসছে বিষণ্ণতা
কুয়াশার হাত ধরে নামা সোনালী
ভোরের আলোয় ধুয়ে যায় মনখারাপ
আকাশের পাখি নিজের খেয়ালে
বাতাসের ক্যানভাসে আঁকে জলছবি
তুমি আসবে,তাই আমি জেগে
সারারাত ভিজি জ্যোৎস্নাস্নানে ।।
৩)
নেভাতে পারোনি আজও
কেনো ভাসালে আমায় অথৈ নদীজলে
আমায় ভাসিয়ে খুঁজছো দিব্যি
বালি হাতরে ঝিনুক মুক্ত
হতাশায় মন মাথা কুঁড়ে অন্ধকারে
দেহ কাতরায় শুয়ে দুঃখ শোকে
বুক ভরা স্মৃতি ভিড় করে
একে একে একাকিত্বের চৌকাঠে
গুমরে মরি তুষের আগুনে জ্বলে
যে আগুন তুমি নেভাতে পারনি আজও ।।
অনুকবিতা
প্রাপ্তি মুখোপাধ্যায়
আগুন নেভাতে বৃষ্টি আসুক--
মাটিও চায় না আর।
জ্যোৎস্না, তোমার চাতক-হনন
শেষ হওয়া দরকার ...
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় এর অনুকবিতা
১)
প্রতীক্ষা অন্তহীন
জবরদখল হয়েছে সুখী মরশুম
বিষণ্নতার দিনগুলি উজ্জ্বল জিরাফের
চোখে বালিশ ভেজায়...
২)
দেরাজে রঙিন হাওয়া
সাদাকালো প্রতিপক্ষ
টিপছাপ দিয়ে ফিরছে চাবির গুচ্ছ
বেলঘরিয়া ফ্লাইওভার..
কাতাউতা
প্রনব রুদ্র
১।
লুকানো প্রেম
পরকীয়াও হয় যা
লোকে মন্দ বলে তা।
২।
তুমি আমির
ভালোবাসা গল্প
কানাকানি বাতাসে।
৩।
শেকল মনে
৪দিক শূন্য লাগে
সে আজ অন্য ঘরে।
৪।
ফুলের মধু
মিষ্টি অতি স্বাদে
বুকে তোমার মাথাও।
৫।
তুমি আসবে
অপেক্ষা প্রতি পলে
মন রাঙা ময়ূরী।
শুভেন্দু ঘোষ এর অনুকবিতা
১)
জীবনটা নিজের।
শুধু যোগ্যতা থাকে প্রমাণের...
২)
আর তার পিছুটান নেই,
আজ সে সকলের আকাশে মুক্ত পাখি...
খুব সুসুন্দ
ReplyDeleteপ্রত্যকটি লেখাই মনোগ্রাহী। ভালো লাগলো বেশ
ReplyDelete