PravatiPatrika

Thursday, June 18, 2020

ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস



                ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস

                    "সোহান ও তার বন্ধুরা“ 
                           পার্থসারথি

                             পর্ব-১০

সবাই এসে সোহানের রুমে বসল। এই রুমে ঢুকলে সবাই যেন কেমন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। এখানে এসে কেউ চুপচাপ বসে থাকে না। এটা-ওটা নিয়ে সবাই ব্যস্ত থাকে। সোহান রুম থেকে কখন চলে গিয়েছিল কেউ খেয়াল করে নি। ফিরে এসে বলল- 'চিনুদা চল, আব্বু ডাকছে।'
আমাকে একা ডেকেছে নাকি?-চিনুদা জানতে চায়।
না, সবাইকে যেতে বলেছে। চিনুদা প্লিজ, যেভাবেই হোক আব্বুকে রাজী করাবি।–হাত জোড় করে সোহান বলল।
চিনুদা নির্ভয় করার ভঙ্গীতে বলল- 'কোন চিন্তা করিস না। দেখিস কীভাবে ম্যানেজ করি। শুধু আমি যা বলব তোরা সবাই সাপোর্ট করে যাবি। আর বাকী সব দায়িত্ব আমার। কি ঠিক আছে তো?'-ওপরে ওপরে চিনুদা এমন ভাব দেখাচ্ছে যে ব্যাপারটা একদম মামুলি এবং সে তা একেবারেই পাত্তা দিচ্ছে না। কিন্তু সত্যিটা হলো চিনুদা ভেতর ভেতর ভীষণ ঘাবড়ে গেছে। তবে তার বিন্দু মাত্র প্রকাশ করে নি।
সবাই একসঙ্গে বলে ওঠল- 'ঠিক আছে।'
চিনুদা আর সোহানের পিছু পিছু সবাই ত্রস্ত পায়ে এগিয়ে চলল। সোহানের আব্বু সোফায় হেলান দিয়ে বসে পেপার পড়ছেন। মুখমন্ডল পেপারের আড়ালে ঢেকে আছে। আর আম্মু পাশেই অন্য একটা সোফায় বসে আছেন। ওদেরকে ঘরে ঢুকতে দেখেই আম্মু বললেন- 'এসো বাবারা কাছে এসে বসো।'
দুটো পাশাপাশি বড় সোফায় ওরা সবাই জড়োসড় হয়ে বসল। সোহান চিনুদার পাশে বসল। আম্মুর ডাকে আব্বু পেপার পড়া বন্ধ করলেন। তারপর একে একে সবার দিকে শান্ত চোখে তাকালেন। সবাই যেন আরও একটু গুটিয়ে গেল। নাউড়া এক ফাঁকে চিনুদাকে দেখে নিল ; অনেকটা স্বাভাবিকই আছে।
সোহান কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল- 'আব্বু ওরা সবাই আমার স্কুলের বন্ধু।' 
আব্বু বেশ গম্ভীর কন্ঠে বললেন- 'হু...বুঝতে পেরেছি।'
তারপর কিছুক্ষণ নীরবতা। পাশাপাশি অন্যরাও চুপচাপ বসে আছে। অনকক্ষণ নীরব থেকে তারপর আব্বু বললেন- 'শুনলাম তোমরা পিকনিকে যাচ্ছ।'
চিনুদা সাহস সঞ্চয় করে জবাবে বলল- 'জ্বি আংকেল...পরীক্ষা শেষ তাই ভাবলাম...।'
চিনুদাকে কথা শেষ করতে না দিয়েই আব্বু বললেন- 'বেশ তোমরা গিয়ে পিকনিক করে এসো। এর মধ্যে সোহানকে টানছো কেন?'
গুছিয়ে বলার চেষ্ঠা করল চিনুদা-  আমরা সবাই পরস্পর বন্ধু। তাই সবাই একসাথে পিকনিকটায় আনন্দ করতে চাই।'
সোহানের আব্বু বেশ গম্ভীর হয়েই বললেন-  'একজন দু'জন না গেলে তেমন কিছু একটা আনন্দে ঘাটতি হয় না।'
চিনুদা গুছিয়ে সুন্দরভাবে উত্তর দিল- 'আংকেল সোহান আমাদের সে রকম বন্ধু নয়। আমাদের খুব কাছের বন্ধু। সোহান পিকনিকে না গেলে আমরা কেউ যাব না।'
সোহানের আব্বু কিছুটা যেন চুপসে গেলেন। একটু ভাবলেন। তারপর বললেন-'বুঝেছি তোমরা আগে থেকেই প্ল্যান করে সব করছো। শুনলাম সোহানকে সাঁতারও শিখিয়েছো। অবশ্য এটা একটা দারুণ কাজ করেছো তোমরা। তবুও এই ভরা-বর্ষায় আমি সোহানকে নৌকা ভ্রমণে ছাড়বো না। তোমরা গিয়ে পিকনিক করে এসো।'
সবাই চিনুদার দিকে তাকিয়ে আছে। চিনুদাকে কিছুটা চিন্তিত মনে হচ্ছে। একটুক্ষণ ভেবে তারপর বলল- 'আংকেল...আপনি হয়ত ভাবছেন নৌকা যদি দুর্ঘটনায় পড়ে যায় তাহলে সোহান সাঁতরে পাড়ে আসতে পারবে না।'
সোহানের আব্বু পায়ের উপর পা তুলে নাচাতে নাচাতে বললেন- 'হ্যাঁ অবশ্যই, একথা ভেবেই আমি ভরা বর্ষায় সোহানকে যেতে দিতে চাই না।'
'আংকেল, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। এ ব্যাপারে সোহানের কোন সমস্যা নেই। ও অনেকের চেয়ে ভালো সাঁতার পারে।'-এই বলে চিনুদা উত্তরের প্রত্যাশায় সোহানের আব্বুর দিকে তাকিয়ে থাকে।
সোহানের আব্বু বললেন- 'আমি কী করে বিশ্বাস করব যে সোহান ভালো সাঁতার পারে।'
চিনুদা বেশ উৎফুল্ল হয়েই বলল- 'তাহলে আমাদের সবার মাঝে একটা সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়ে যাক। তখন নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পারবেন।'
সোহানের আব্বুকে দেখেই বুঝা গেল, উনি বেশ খুশী হলেন। তবে বললেন-'কিন্তু তোমরাতো ইচ্ছে করেই সোহানকে জিতিয়ে দেবে।'
চিনুদা বেশ বুদ্ধি খাটিয়ে বলল- 'আংকেল তাহলে আপনি আপনার পছন্দ মতো আরও কয়েকজনকে আনাতে পারেন। তখন নিশ্চয়ই আপনার আর কোন সন্দেহ থাকবে না।'
সোহানের আব্বু বেশ খুশী হয়ে বললেন- 'হ্যাঁ...তুমি ঠিকই বলেছো। চল, এখনই চল।'-এই বলে সোহানের আব্বু সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। সত্যি বলতে কী, সোহানের আব্বুর মনের মধ্যে একটা উৎফুল্ল অনেকক্ষণ ধরেই খোঁচাচ্ছে ছেলের সাঁতারটা প্র্যাকটিক্যালি দেখার জন্য। এই আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে একটা উত্তাল ঢেউ যেন নিমেষে ছড়িয়ে দিল।
আসফি, কাজল, শিবলী ওরা অনেকক্ষণ ধরে আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করছিল। সোহানের আব্বুসহ চিনুদারা বাসার গেইটের বাইরে বেরিয়ে আসতেই একটু সরে দূরে চলে এল। কিন্তু সোহানের আব্বুর ডাকে কাছে এগিয়ে এল। কাছে আসতেই সোহানের আব্বু বললেন- 'তোমার নাম কী?'
আসফি মাথা নীচু করে নিজের নামটা বলল।
কাজলের দিকে তাকাতেই ওর নিজের নাম বলল। তারপর শিবলী।
তোমরা কোন ক্লাশে পড়?
জ্বী...ওদের সাথেই পড়ি।
সোহানের আব্বা কিছুটা অবাক হয়েই বললেন- 'একসাথে পড়। কিন্তু আলাদা ঘোরাঘুরি করছো কেন?'
সোহানের এবার রাগ ঢালবার পালা। সে বলল- 'আব্বু ওরা ভীষণ দুষ্ট। প্রথম প্রথম আমাকে ভীষণ রকমের উত্ত্যক্ত করেছে। তাই ওদের সাথে আর মিশি না।'
সোহানের আব্বু মনে মনে ভাবলেন এসবের মীমাংসা পরে করা যাবে। আপাততঃ সাঁতার প্রতিযোগিতাটা করিয়ে নেয়া যাক। আসফিদের জিজ্ঞাসা করলেন- 'তোমরা সাঁতার পারো?'
সবাই হ্যাঁ-সূচক জবাব দিল।
সোহানের আব্বুর কথামত সবাই সাঁতারের জন্য পানিতে নামল। সবাই তিন হাত দূরে দূরে লাইন দিয়ে দাঁড়াল।চিনুদা, আসফি, নাউড়া, কাজল, কাহার, শিবলী, সুজন ও সোহান। সবাই অপেক্ষায় আছে শুরুর সংকেতের জন্য।
এদের মধ্যে চিনুদা সবচেয়ে ভালো সাঁতার পারে। আসফিও বেশ ভালো সাঁতারু। চিনুদা অবশ্য মনে মনেই ঠিক করে রেখেছে সোহানের পিছু পিছু যাবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আসফিকে নিয়ে।কাজল ও শিবলী তেমন ভালো সাঁতারু নয়।চিনুদা এক ফাঁকে নাউড়া, কাহার আর সুজনকে ভালো ভাবে বলে দিয়েছে যেন ওরা কোনমতেই সোহানের আগে না যেতে পারে। আর সে নিজে আসফিকে সামলাবে।
সাঁতারের নিয়ম হলো ওপার ছুঁয়ে আবার এপারে ফিরে আসতে হবে। ওপারে দু'জনকে দাঁড় করানো হয়েছে। সোহানের আব্বু গুণতে শুরু করলেন-এক, দুই, তিন...স্টার্ট।
সাঁতার শুরু হয়ে গেল। যাওয়ার সময় সবার আগে ছিল আসফি তারপর যথাক্রমে চিনুদা, নাউড়া, সোহান, কাহার, সুজন, কাজল, শিবলী। আর ওপার ছুঁয়ে ফেরার পথে সব দৃশ্য পাল্টে গেল। সবার আগে সোহান। সোহানের খুব কাছাকাছি চিনুদা। চিনুদা কিন্তু ইচ্ছে করে কম সাঁতরাচ্ছে না। সত্যি সত্যি সোহানের সাথে পেরে ওঠছে না। অবশ্য চিনুদার খুবই ভালো লাগছে।সাঁতরানো অবস্থায় পেছন ফিরে তাকাল আবার...আসফি অনেকটা দূরে আছে। তারপর নাউড়া, কাহার, কাজল, সুজন এবং সবার পেছনে শিবলী।
সোহান প্রথম হলো। চিনুদা দ্বিতীয়। আর আসফি হলো তৃতীয়। সাঁতার শেষেও সোহানকে তেমন একটা ক্লান্ত দেখাচ্ছে না। আসফিকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে ভীষণ ক্লান্ত। বুকটা এখনও হাঁফরের মত ঘন ঘন ওঠা-নামা করছে। প্রথম হবার জন্য আপ্রাণ চেষ্ঠা করেছে।
সোহানের আব্বুতো রীতিমতো অবাক। অপলক দৃষ্টিতে ছেলের দিকে তাকিয়ে আছেন। সোহান কিছুটা লজ্জিত অনুভব করছে। কিন্তু চেহারায় বিজয়ের প্রতিচ্ছবি ঝিলিক দিয়ে সগৌরবে জানান দিচ্ছে।
সবাইকে নিয়ে সোহানের আব্বু বাসায় এলেন। আসফিরাও এল। কিন্তু ওদের সাথে চিনুদারা কেউ কোনরকম কথবার্তা বলছে না এমনকি একবারের জন্য তাকাচ্ছেও না। সোহানের আব্বু কাজের ছেলেটাকে ডেকে বললেন তোয়ালে নিয়ে আসতে।
সবার প্যান্ট ভেজা। কেউ বসতে পারছে না। সোহানের আব্বুও ওদের পাশে দাঁড়ানো। সবাইকে অবাক করে দিয়ে আসফিদের দেখিয়ে চিনুদাকে বললেন-'ওদেরকে তোমাদের সাথে নিয়ে নাও।ওরাওতো তোমাদের বন্ধু ।'
চিনুদা প্রতিবাদ করে বলল- 'আংকেল ওদেরকে আমাদের দলে নেয়া যাবে না।'
সোহানের আব্বু জানতে চাইলেন কেন নেয়া যাবে না।
চিনুদাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সোহান বলল- 'আব্বু ওরা কোনদিকেই ভালো নয়। আর সবসময় খারাপ বুদ্ধি নিয়ে চলে।আর লেখাপড়াতেও একেবারে লাড্ডুগুড্ডু।'
আসফি, কাজল আর শিবলীর দিকে তাকিয়ে আব্বু বললেন- 'সোহান যা বলছে তা কি সত্যি?'
সবাই মাথা নীচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।সোহানের আব্বু নিজেকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললেন- 'তাহলে তো বেজায় সমস্যা!' একটুক্ষণ ভেবে আবার বললেন-'একটা পথ অবশ্য আছে।'
আসফিরা একটু আগ্রহভরা দৃষ্টিতে তাকাল।সোহানের আব্বু বললেন- 'আমি যা যা বলবো শুনবে তো?'
তিনজনই মাথা নেড়ে হ্যাঁ-সূচক জবাব দিল।
সোহানের আব্বু বলতে শুরু করলেন- 'আজ থেকে তোমরা ভালোভাবে লেখাপড়া করবে। সবার সাথে মিলেমিশে চলবে। আর বাজে কোন অভ্যাস থাকলে তা' অবশ্যই ত্যাগ করবে। কি, করবে তো?'
আসফি বেশ খুশী হয়েই বলল- 'জ্বি, ঠিক আছে আংকেল। আর কোনদিন খারাপ ভাবে চলব না। আর লেখপড়াও ঠিকভাবে করব।'
কাজল আর শিবলীও সাথে সাথে একই কথা বলল।
তারপর সোহানের আব্বু উভয় পক্ষকে মিলিয়ে দিল। আসফি সোহানকে জড়িয়ে ধরে কাঁদু কাঁদু কন্ঠে বলল- 'সোহান আমি খুব দুঃখিত তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করার জন্য। এখন থেকে তোমাদের বন্ধু হয়েই চলব। আর কোনদিন কারও সাথে এমন করব না।'
একই সুরে কাজল ও শিবলী বলল। এদের এমন ব্যবহারে সোহান সত্যি খুশী হয়েছে। চিনুদার দিকে তাকাল সোহান। চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে চিনুদা বেশ অখুশী ; মুখ গুমড়া করে আছে। আসফি এবার চিনুদার কাছে এগিয়ে এল। তারপর হাত দুটো ধরে বলল- 'চিনুদা আমাকে ক্ষমা করে দে। এবার থেকে তোদের মতই চলব। আর যদি কোন সময় খারাপ ব্যবহার করি তাহলে আমাকে আর ক্ষমা করিস না।'
আসফি কথাগুলো এমন দরদ মাখা কন্ঠে বলল যে চিনুদার মনটা সত্যি গলে গেল। চিনুদা আসফিকে জড়িয়ে ধরে বলল- 'ঠিক আছে আজ থেকে আমরা সবাই বন্ধু।' 
সোহানের আব্বু খুশী হয়ে বললেন- 'এবার তোমরা সোহানকে নিয়ে পিকনিকে যেতে পার।'
কথাটা শেষ হওয়া মাত্রই সবার মাঝে যেন আনন্দের বন্যা বয়ে গেল।
সোহানের আম্মু বড় এক ট্রে হাতে রুমে প্রবেশ করলেন। কয়েকটা প্লেটে ভিন্ন রকমের ফল আর মিষ্টি সাজানো। সবার হাতে হাতে ফল-মিষ্টি দিলেন।যখন বিদায় নিয়ে চলে আসে তখন সোহান গেইট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যায়।
আসফির মনটা আজ বেশ ফুরফুরে। সত্যি বলতে কী, আসফির মনটা বেশ বিষন্ন ছিল। সাথে সাথে কাজল আর শিবলীরও। কারণ চিনুদারা সবসময় আনন্দ করে বেড়ায়। আর ক্লাশের প্রায় সবাই ওদের পক্ষে। আসফি অবশ্য ভালো করেই বুঝে যে, ওর খারাপ ব্যবহারের জন্য ওকে কেউ পছন্দ করে না। এরপরও আসফি খারাপভাবে চলত। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ আসফি ওরা বুঝতে পারে যে, এভাবে চললে কোন বন্ধু থাকবে না। আর বিষন্ন অবস্থাতেই সময় কাটাতে হবে। আসফি গোপনে গোপনে খবর পেয়েছে যে, চিনুদারা পিকনিকে যাবে। জানা মাত্রই মনটা খারাপ হয়ে যায়। আসফি তখন থেকেই সুযোগ খুঁজতে থাকে কীভাবে ওদের সাথে মিলে যাওয়া যায়। আর আজ এর সুবর্ণ সুযোগটা পেয়ে যায় এবং সুন্দরভাবে কাজেও লাগায়।
বৃহঃস্পতিবার যেন চোখের পলকে চলে এল। আগামীকালই পিকনিক। সবাই খুব ব্যস্ত। নৌকারও সুন্দর ব্যবস্থা হয়ে গেছে। নৌকাটা মোটামুটি বড়সড় এবং ছৈওয়ালা। মাইক ভাড়াও হয়ে গেছে ; সন্ধ্যার আগেই গিয়ে নিয়ে আসতে হবে। ছাত্র বলে রশীদ চাচা মাইক ভাড়াও অর্ধেক নিচ্ছে। চাল-ডাল-তেল-লবণ-মশলাসহ সব পরিমাণমত সংগ্রহ হয়ে গেছে। আসফি, কাজল আর শিবলী নতুন যোগ দেয়াতে আরও দুটো মুরগী কিনতে হয়েছে। অবশ্য না কিনলেও হয়ে যেত। চিনুদার কথা হল, পিকনিকে যাচ্ছি কোনকিছুর টান পড়লে পিকনিকের আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে। সন্ধ্যার আগেই ওরা গিয়ে মাইক নিয়ে এসেছে। রশীদ চাচা বারবার চেক করে অবশেষে নতুন এবং ভালো একটা মাইক দিয়েছে। সবকিছুই ঠিকঠাক আছে। এবার অপেক্ষার পালা।   চলবে...

No comments:

Post a Comment