PravatiPatrika

Saturday, June 27, 2020

শুধুই কবিতা

                     প্রত্যয়
                সমীরণ বেরা

পি -ল সুজের ব্যাখ্যাটা আজও পেলাম না
আ- মার ভিতরকার এক অন্য সত্তা জানান দেয়
লী- লার মাঝে যে খেলা - তা আসলে বোঝা যায় না।

তো- রণ নির্মাণের সকালে প্রস্তুতির ডাক দিয়ে যায়
মা - ভৈ : আমরা আছি তোমার সাথে
র- ব উঠেছে চতুর্দিকে-" বাঁচতে চাই বাঁচতে চাই "।

জ- ন্মের অপেক্ষা সুপ্রভাতের আঁধার রাতে
ন - ত হ'য়ে শিখেছি জীবনে কী পাই না পাই!
ম- স্ত বড় ভুলের পরেও সংশোধিত ইতিহাস
দি- গন্ত জুড়ে নব সূর্যের আভাস
ন - ব প্রাণে নূতনের ডাক দিয়ে যায়
শু- ক সারি জেগে থাকে অনিমেষ কাল
ভ' - রে যাক অপূর্ণতার যত ঘট ; ছেড়ো না হাল
হো- ক না এখন পূর্ণ অমাবস্যার রাত
ক - খনো আশা ছেড়ো না, রেখো হাতে হাত।




        বোধ
বাপন দেব লাড়ু

শ্লীলতা,  অশ্লীলতা অদৃশ্য
এই মুহুর্ত শুধুই সত্যের,
সব বাঁধন ভেঙে একাত্ম হয়েছে সময়,
লজ্জা বোধ গুলোকে অসীম দুঃসাহসিকতায়
ভাঙছি তুমি ও আমি ;
চোখ বুজে আসলেও
আদিম পাপ বোধে
জড়ায় সব চাওয়া - পাওয়া।
পাপ-পূন্যের হিসেব দূরে থাক ;
ইতিহাস হোক বোধগম্য ভালোবাসা।








             দৈনন্দিন 
      জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

কাজ শেষ হলে নপুংসক সূর্যের হাত ধরে
পশ্চিমে দাঁড়ায় কুন্তীবিষাদ
রাগমোচন করে ক্লান্ত সুর্যের রথের গতি শ্লথ
সপ্তাশ্বের পাশে দীর্ঘচ্ছায়া ডাকে ক্লান্ত বিহগ
পূর্ণ কুলায় অবকাশের আনন্দরাগ

পশ্চিমে প্রহর গোনার ঘড়ি নির্বিকার......

মঞ্চবদলের অনিবার্যতায় উচাটন প্রেতের প্রবেশ
অস্থিময় আলিঙ্গন টান আর টান.......
খানিক ডিপ্রেশন আর অশ্লীল অনুভূতির ফাঁদ
পাহাড়িয়া পথ তাপ-সন্তাপে আছাড়ের তেতো স্বাদ
সুগার ফ্রি সুগার বিছানার মাটি নেবার আগে স্বপ্নসুখ
সবুজ ধানখেতে ভাদ্র-হাওয়ার বিমোহন ঢেউ

ব্যর্থ সাধন বলে,হে নপুংসক কাল একটু দেরিতে উঠো






             " রামধনু ভালোবাসা "
                         হামিদুল ইসলাম
                   
সূর্যটাকে ধরতে চাই
হাতের মুঠোয়
মনের দিগন্তে স্বপ্নগুলো
প্রতিদিন ঘোড়া ছুটোয়  ।।

স্বপ্নগুলো সাজাই
রাত্রি গভীর
তখনো তুমি দাঁড়িয়ে থাকো
সুদূর সমুদ্র তীর    ।।

তোমাকে ছুঁয়ে যায়
মনের আকাশ
দুহাত বাড়িয়ে দিই
হৃদয়ে রাখি শ্বাস    ।।

তুমি উদিত সূর্য
মনের তাজমহল
তোমার ভালোবাসা
সিন্ধুনদের জল   ।।

সে জলে নামি প্রতিদিন
স্নান সারি দুজনে
জলের গভীরে দেখি
আমাদের প্রেম সাজানো গানে গানে    ।।

প্রেম করি সারারাত
বুকে রাখি নিখাদ আশা
তুমি আমার প্রাণের প্রতিমা
রামধনু ভালোবাসা    ।।






  নকশী কাঁথা
 জুয়েল রূহানী


মায়ের হাতের নকশী কাঁথা
দেখতে চমৎকার,
শীতের দিনে নকশী কাঁথা-
উৎস উষ্ণতার!

সুই-সুতা আর হাতের ছোঁয়া-
হাসি ভরা মুখ,
নকশী কাঁথা তৈরিতে মাঁ-
পান যে ভীষন সুখ!

জড়িয়ে রয় নকশী কাঁথায়
কত যে স্মৃতি!
সে সব স্মৃতি প্রকাশ করেন-
মাঁ যত্নে অতি।

আসুক যতই হিম-কুয়াশা-
ভয় করি না আর,
আমার কাছে আছে যে ভাই
বল নকশী কাঁথার।




আমার ভালোবাসা
    -----সৌমেন সরকার

আমার ভালোবাসা
এক অন্তঃসলিলা নদীর মত
অপ্রকাশিত

যেখানে অনুবীক্ষনও কার্যকরী নয়
প্রেমের স্বরূপ দর্শনে...

কিন্ত,বোধগম্যতার গভীরে
নিহিত থাকে-
প্রেমের সমূল চক্রবৃদ্ধি...





                         টাপুর টুপুর
                       রমলা মুখার্জী


টাপুর টুপুর বাজছে নূপুর সকাল দুপুর সন্ধ্যে.........
খুকুর প্রাণ গাইছে গান আনন্দে সুর ছন্দে।
নেই তো পড়া উঠোন ভরা জল করে থৈ থৈ.,....
নাচছে খুকু সঙ্গে টুকু তা থৈ তাতা থৈ।
নৌকা বানায় কানায় কানায় জলে ভাসায় রাজা......
উঠোন জলে নৌকা দোলে, মন খুলে আজ মজা।
খুকুর দাদা এনেছে গাদা জিলিপি গরম চপ
সবাই মিলে হেসে খেলে খাচ্ছে গপাং গপ্।
ঘিরে দাদাই বসে সবাই গল্প জমে নানা.......
রূপকথারই রাজত্বে আজ স্বপ্ন মেলে ডানা।





                     মাদক
              বিশ্বজিত মুখার্জ্জী

মাদকের নেশা সর্বনাশা জীবনকে দেয় হাতছানি,
মাদকাসক্ত জীবন সংসারের বালাই টানে অপকর্মের ঘানি।
ওরে যুবসমাজ নেশায় কেন রক্ত করিস জল?
নেশায় হয় আয়ু ক্ষয় শরীর দূর্বল।
নেশায় ঘোরে সাময়িক তোরা পাবি সন্তোষ,
দিনেদিনে তনু ক্ষয় বাড়ে আপশোস।
নেশায় ঘোরে সমাজচ্যুতি যাচ্ছিস উচ্ছন্নে,
মনুষ্যত্ব লোপ পরিনত বিবেক বর্বরতায় বন্যে।
নেশার ঘোরে বিবেক পুড়ে করিস কু-কাজ,
ছেলে-বৌ-মায়ের মুখে তাকিয়ে লাগেনা লাজ।
নেশা মানে মরীচিকার পিছে ছোটা জীবন মৃতপ্রায়,
নেশার বুঁদে জীবন থাকে মৃত্যুর অপেক্ষায়।
নেশাই শুধু জীবন নই সংসারও ছারখার,
সুগার,কর্কট,হৃদয়ের রোগ শরীরের বাড়তি উপহার।
ওহে আগামী শোন মোর বারতা,
তোমাদের মাদকাসক্ত বাড়ায় মোদের ব্যকুলতা।
চল ছাড়ি নেশা সংসারকে দিয়ে ভালোবাসা,
হাতে তুলে বই সমাজের জাগায় নতুন প্রত্যাশা।







                  প্রথম কদম ফুল
                   মিনতি গোস্বামী

এখন দুপুর হলেই সূয‍্যিটা মুখ লুকোচ্ছে মেঘের আড়ালে।মেঘগুলো শিবরাত্রির পুণ‍্যবতী মেয়েদের মত মাথায় জল ঢালতে ব‍্যস্ত।
আবছা শহর।লুকোচুরি।জলতরঙ্গ।
গ্ৰীলের বাইরে হাতের তালু পেতে ধরি ঋতুর আঁচল।চতুর সূর্যটা মুচকি হেসে ছাড়িয়ে নেয় আঁচল।মন তো তখনো কদম ফুল, পাতার বাঁশি,দিঘীজল।
রূপ , মনে পড়ে! স্কুল বেলায় আসার সময় বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তার ধারের গাছ থেকে কদমফুল এনে গোছা করে আমাকে দিতিস।আমি বুকে ধরে ফুলের গন্ধ নিতাম চোখ বুজে, হারিয়ে যেতাম রূপকথার দেশে।আর তোরা টিফিনে বন্ধুদের সঙ্গে কদমফুল লোফালুফি খেলতিস।
তুই কি বুদ্ধু ছিলি রে!
তুই জানতিসনা তুই আমার প্রথম প্রেম, আমি তোর প্রথম কদমফুল।
অতিমারীতেও আমি কদমের গন্ধে মশগুল।







নেপোদাদুর গোঁফ ও টাক
রাজকুমার ঘোষ

নেপোদাদুর খালি গায়ে,
গোবর গন্ধে ভরা …
তবে দাদুর গ্ল্যামার
গোঁফ ও টাকে মোড়া।

কিপ্টে দাদু বেচতো ঘুটে…
পরনে প্রিয় লুঙ্গি  ।
ডিজাইন করা গোঁফটি…
দাদুর চিরসঙ্গী  ।

হাজার ভীড়ের মাঝে যদি,
দাদু দাঁড়িয়ে থাকে…
তবু সবার চোখটি যেত
দাদুর স্পেশ্যাল টাকে। 

টাক-গোঁফের এমন জাদু
ঠাম্মা গেছে পটে।
তাইতো দাদু বুড়ো বয়সে
বিয়ের জন্য ছোটে !








2 comments:

  1. সব লেখাগুলো সুন্দর। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এবং সমীরণ বেরা লেখনী দুটো যেন জীবন্ত, অসাধারণ সৃষ্টি আপনাদের কবি।

    ReplyDelete
  2. মিনতি গোস্বামীর প্রথম কদমফুল কবিতাটি দারুণলাগলো

    ReplyDelete