PravatiPatrika

Monday, June 8, 2020

ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস



ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস

                       সোহান ও তার বন্ধুরা
                               পার্থসারথি

                                পর্ব-৬

এই যে আম্মু ওরা সবাই আমার বন্ধু। সোহান ওর আম্মুকে নিয়ে এসে উপস্থিত।সবাই একসঙ্গে সোহানের আম্মুকে সালাম করল।তারপর আম্মু এক গাল মিষ্টি হেসে বললেন- 'তোমরা বসো বাবারা।'-এই বলে একে একে সবার নাম জেনে নিলেন। তোমাদের কথা অনেক শুনেছি। তোমরা সোহানকে দেখে রেখো।
চিনুদা এতক্ষণে আড়ষ্টতা কাটিয়ে বলল- 'আন্টি, আপনি কোন চিন্তা করবেন না। আমরা সবসময় মিলেমিশে চলবো।'
চিনুদা লেখাপড়ায় ততটা ভালো নয়।অবশ্য ভালো নয় বলাটা ঠিক নয়। সত্যি বলতে কী লেখা-পড়াটা একটু এড়িয়ে চলে।তবে আগের তুলনায় এখন লেখাপড়ায় বেশ একটু মনোযোগী হয়েছে।এটুকু অবশ্য নাউড়া, সুজন আর কাহারের সহযোগীতায় হয়েছে।সোহানের আম্মু যখন লেখাপড়া নিয়ে আলোচনা করছিল তখন চিনুদা যেন লুকিয়ে বাঁচে। সোহানের আম্মু চলে যেতেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।
সোহান ক্যাসেট প্লেয়ারটা ছাড়ল।ব্যান্ডের চটকধরা গান বাজছে। মিউজিকের বেশ সমাহার; গানের চেয়ে মিউজিকের দাপট কয়েকগুণ বেশি।চিনুদা বেশ মজা পাচ্ছে মনে হচ্ছে। কারণ গানের তালে তালে শরীর দোলাচ্ছে। মাঝে-মধ্যে আবার গানের সাথে গলা মেলাচ্ছে।অবশ্য অন্য সবাই মনের অজান্তে একটু আধটু হেলছে দুলছে। 'কার্টুন চলছে টিভিতে দেখবি?'- সোহান জিজ্ঞাসা করল।
এই গানটা শেষ হোক, তারপর হবে।– চিনুদা তাল ঠিক রেখেই জবাব দিল।
তোরা একটু বোস, আমি এখনই আসছি।– এই বলে সোহান চলে গেল।
সোহান চলে যাবার পর চিনুদা বলল- 'সোহান বন্ধু হিসেবে খুব ভালো। নাউড়া চিনুদাকে জোর গলায় সমর্থন জানাল।'
সুজন বেশ আবেগ নিয়েই বলল- 'চিনুদা তোর জন্য শেষ পর্যন্ত বন্ধুত্ব পাকাপোক্ত হলো।'
চিনুদা বলল- 'ঐদিন কাহারের পরিবর্তে নাউড়া লাগত যদি তাহলে ঝামেলা ঐ সময়ই মিটে যেত। নাউড়াটা একটু ভীতু।'
কাহার প্রতিবাদ করে বলল- 'আমিই পারি নি, আবার নাউড়া! নাউড়ার চেয়ে আমার ঢের বেশি শক্তি।'
'ঢের বেশি শক্তিই যদি তবে ওদের হারাতে পারলি না যে? – ঘাড় বাঁকিয়ে জবাব দিল চিনুদা।
কাহার নাউড়ার দিকে তাকিয়ে বলে- 'বিশ্বাস না-হয়, তো পরীক্ষা হয়ে যাক।'
'আরে রাখ, যা পারবি না তা নিয়ে অনর্থক বকবক করিস না। মোল্লার দৌড় আমার জানা আছে।'- চিনুদা বেশ অবজ্ঞার সুরে কথাগুলো বলল।
কাহার উঠে দাঁড়িয়ে বলল- 'তাহলে এখনই হয়ে যাক!'- কাহার বেশ উত্তেজিত।
চিনুদা নাউড়াকে ঠেলে উঠিয়ে দিল এবং নির্দেশ দিল- 'শুধু কুস্তি হবে। কোনরকম ঘোষাঘুষি নিষেধ। কেউ কাউকে ব্যথা দিবি না। তবে একজন অন্যজনকে হারাবি ব্যস।'
কুস্তি শুরু হয়ে গেছে কাহার আর নাউড়ার মধ্যে। ফ্লোরে কার্পেট বিছানো আছে। সুতরাং ভয়ের কোন কারণ নেই। দু'জনের লড়াই চলছে ভীষণ রকম। একবার নাউড়া নীচে তো আবার কাহার। কেউ কাউকে নীচে ফেলে চেপে ধরে রাখতে পারছে না। সুতরাং কেউ কাউকে হারাতে পারছে না।ধস্তাধস্তি করতে করতে খাটের উপর এসে পড়ল। ধপাধপ শব্দ হচ্ছে। আর বাকীরা দর্শক হিসেবে দারুণ উপভোগ করছে।
নাউড়া এক ফাঁকে চিনুদার দিকে তাকাল। চিনুদা চোখে ইশারা করল। নাউড়া বুঝতে পারল যে, চিনুদা চাচ্ছে যে ও জিতুক। আসলে নাউড়ার ওপর চিনুদার সব সময়ই একটু আলাদা দুর্বলতা থাকে।
আরও কতক্ষণ ধস্তাধস্তি হলো। কিন্তু হারজিত কিছুই হলো না। কারণ সোহানের আম্মু এসে উপস্থিত।তিনি দৌঁড়ে এসে দু'জনকেই টেনে ছাড়ালেন এবং আশ্চর্য হয়ে বললেন- 'কী ব্যাপার, এই মাত্র দেখে গেলাম সুন্দরভাবে বসে আছো।এরই মধ্যে ঝগড়া লেগে গেলে? কী হয়েছে আমার কাছে বল।'
লজ্জায় দু'জনই যেন আড়ষ্ট হয়ে গেল। কারও মনেই প্রশ্নটা জাগ্রত হয় নি যে, বাসার মধ্যে এভাবে কুস্তি লাগাটা ঠিক নয়। পরিশ্রান্ত শরীর যেন আরও বিষাদগ্রস্ত হয়ে ওঠল লজ্জায়।কাহার ও নাউড়া মাথা নীচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। চিনুদা আমতা আমতা করে বলল- ‰আন্টি, আসলে ঝগড়া নয়। দু'জনের শক্তি পরীক্ষা হচ্ছিল।'
সোহানের আম্মু না-হেসে পারলেন না। তিনি ফিক করে হেসে ওঠলেন এবং হাসতে হাসতে বললেন- 'তাই নাকি? তাহলে তো দু'জনই সমান।এবার হাত মেলাও।' দু'জনের হাত মিলিয়ে দিয়ে উনি হাসতে হাসতে চলে গেলেন। সবাই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।কিছুক্ষণ পরই সোহান এল। পিছু পিছু কাজের মেয়েটি বড় এক ট্রে হাতে। পেছন পেছন সোহানের আম্মুও এলেন। তারপর নাউড়া ও কাহারের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন- 'নাও, খেয়ে নাও। অনেক পরিশ্রম করেছো।'
কাহার ও নাউড়া লজ্জায় মাথা নীচু করে চুপচাপ বসে রইল। ওদের হাতে প্লেট ধরিয়ে দিয়ে আম্মু আবার বললেন- 'খাও, আম্মুর কাছে লজ্জার কিছুই নেই। আমি তোমাদের মায়ের মতই।'- এই বলে দুজনকে একটু আদর করে চলে গেলেন।
এবার সবাই একটু হালকা হয়ে বসল। সবারই খাওয়ার গতি বাড়ল। সোহান টিভিটা অন করল। কার্টুন চলছে। খেতে খেতেই কার্টুন শেষ হল।
সোহান এবার টিভির সাথে ভিডিও গেমসের সংযোগ দিল। ভিডিও গেমসের ভিন্ন ধরণের আকর্ষনীয় খেলা দেখে সবাই অবাক।সবাই একমত হলো সাইকেল রেসিংটাই খেলবে। সোহান ভিন্ন ভিন্ন বাটন চেপে দেখিয়ে দিল কীভাবে ভিডিও গেমস খেলতে হয়।কীভাবে স্পীড বাড়াতে হয়, কীভাবে কমাতে হয়, কীভাবে ঝাম্প দিতে হয়। খুঁটিনাটি সবই দেখিয়ে দিল।তারপর একেকজন পাঁচ মিনিট করে ভিডিও খেলল।
সন্ধ্যায় সন্ধ্যায় ওরা বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বের হলো। পুকুরের পূব পাশে আসতেই আসফি, শিবলী, কাজলদের সাথে দেখা। ওরা দেখেও না দেখার ভান করে চলে গেল। সোহান পুকুরের মোড় পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে চলে গেল।
ফেব্রুয়ারী হতে এপ্রিল পর্যন্ত মাসগুলো চোখের পলকে কেটে গেল। টিভিতে ভাল অনুষ্ঠান হলেই ওরা সবাই সোহানদের বাসায় চলে এসেছে। তাছাড়াও প্রায়ই সোহানদের বাসায় এসেছে। ভিডিও গেমসে ওরা মশগুল থাকত বেশি। চিনুদা অবশ্য বেশির ভাগ সময় ক্যাসেট প্লেয়ারে ব্যান্ডের গান শুনেছে। নাউড়া একটার পর একটা বই এনেছে আর পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ওরা খেলার মাঠে খেলতে গিয়েছে এবং এখনও যায়।
প্রথম ক'দিনেই বুঝা গেল সোহান ছাত্র হিসেবে খুব ভাল। ক্লাশের সব পড়া সবসময় শিখে আসে এবং বাড়ীর কাজও ঠিক ভাবে করে নিয়ে আসে। কোনদিন ফাঁকি দেয়ার চেষ্ঠা করে না। সব স্যারের দৃষ্টি এখন সোহানের ওপর। চিনুদা পরস্পর শুনতে পেয়েছে যে’ আসফি, শিবলী, কাজল ওরা এখন আপসোস করে। শিবলী নাকি আসফিকে দোষারোপ করে। এমনকি ওদের মধ্যে তর্কাতর্কিও হয়েছে। আসফি ওরা সবাই একদিন নাউড়ার কাছে এসেছিল ঝগড়া-বিবাদ মিটিয়ে ফেলার জন্য। নাউড়া সাফ সাফ বলে দিয়েছে- 'আমি এসব ব্যাপারে কিছুই জানি না। তোরা চিনুদার কাছে যা।'
আসলে চিনুদা, নাউড়া, সুজন, সোহান ওরা নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করেছে যে, যারা খারাপ মনোভাব নিয়ে চলবে তাদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখবে না। আসফি, কাজল, শিবলী ওরা সবসময় অন্যদের খোঁচাখুচি করে, অনর্থক নিরীহদের জ্বালা-যন্ত্রণা করে এমনকি সিগারেটও টানে। তাই চিনুদার কড়া নির্দেশ ওদের সাথে মেলামেশার ব্যাপারে কেউ যেন আবদার না করে।
চিনুদার কাছে আসফি ওরা এলে সোজসুজি জবাব- 'তোরা তোদের মতো থাক। তোদের সাথে আমাদের কোনরকম সম্পর্ক নেই।' আসফি ওরা আর কোন কথা বলতে সাহস পায় নি।
চিনুদার কথা হলো, যে খারাপ কাজ করবে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। অতএব আসফির অনেক শাস্তি পাওনা রয়েছে।
স্কুলের পুকুরের পূব-পাড়ে বেশ কয়েকটা মাঝারি আকারের কড়ই গাছ আছে। গত বছর নব্বইয়ের বন্যার সময় একটা গাছ পুকুরের পানিতে হেলে পড়েছে। তবে বেশি অংশটুকু পানির উপরে। ঐ গাছটাতেই চিনুদারা বিকেলে আড্ডা দেয়।প্রতিদিন খেলা শেষে দশ-পনের মিনিটের জন্য গাছের ডালে ডালে বসে আড্ডা দেয়। তবে মাঝে-মধ্যে বিশেষ দরকার হলেও ওরা গাছে বসে পরামর্শ করে। কারণ আশেপাশে কেউ তেমন একটা থাকে না। আবার অনেক সময় চিনুদা ভালো ভালো ভূতের গল্প বলে। এই গাছের ডালে ডালে বসে আড্ডা দেয়ার আরেকটা সুবিধা আছে।কারণ গাছটা হেলে পড়াতে ডালে ডালে আবার মুখোমুখি হয়ে বসা যায়।
আজও ওরা একটা বিশেষ প্রয়োজনে বসেছে। তবে চিনুদার অভ্যাস আড্ডাতে বসার আগে কিছু-না-কিছু চিবোতেই হবে। নয়ত আড্ডাটা ঠিক জমে ওঠে না।
সুজনকে পাঠানো হয়েছে বাজার থেকে গরম ডালপুরি আর পিঁয়াজু নিয়ে আসতে। সুজন অবশ্য একা যায় নি। সোহানকে সাথে করে নিয়ে গিয়েছে।যাবার আগে সুজন বলে গেল- 'আমরা না-আসা পর্যন্ত গল্প বলা শুরু করবি না।'- তাই ওরা এখন টুকটাক অন্য কথা বলছে।
মিনিট দশেকের মধ্যেই সুজন ও সোহান চলে এল। তারপর পুরি ও পিঁয়াজুর প্যাকেট চিনুদার হাতে চলে গেল। কিন্তু প্যাকেট না খুলে চিনুদা বলল- 'আমাকে একটা পুরি ও একটা পিঁয়াজু এক্সট্রা দিলে আজ সবার জন্য একটা স্পেশাল সংবাদ আছে।'- এই বলে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করল। সবাই সমস্বরে বলে ওঠল- 'রাজি, রাজি, রাজি!'
চিনুদা প্যাকেট থেকে একটা পিঁয়াজু বের করল। তারপর চোখ বন্ধ করে বেশ আয়েশী ভঙ্গীতে এক কামড় বসাল। চোখ বন্ধ রেখে চিবোতে চিবোতে বলল-'একটা পিকনিক করলে কেমন হয়?'
সবাই উৎস্যুক দৃষ্টিতে চিনুদার দিকেই তাকিয়েছিল। সকলে সমস্বরে বলে ওঠল-'দারুণ হবে !'
সবাই একটু নড়েচড়ে বসল। কাহার জানতে চাইল- কোথায় যাওয়া হবে?'
চিনুদা বিরক্ত হয়ে বলল- '' আগে ফাইনাল হোক। তারপর কোথায় যাব, কখন যাব, কীভাবে যাব সব ঠিক হবে।'
সবাই পিকনিক করতে রাজী। কিন্তু একটাই প্রশ্ন এত খরচ কীভাবে জোগার হবে। চিনুদা ছাত্র হিসেবে খুব একটা ভাল না-হলেও সবার চেয়ে বুদ্ধি একটু বেশি রাখে। আর্থিক দিকটা নাকি সে আগেই সমাধান করে রেখেছে। কথাটা শুনে সবাই অবাক আবার পাশাপাশি বেশ খুশী।
সুজন উৎফুল্ল হয়ে বলেই ফেলল- 'তাহলে তো না করার কোন কারণ নেই। তাহলে কোথায় যাওয়া যায় সেটা ঠিক করি।'
চিনুদা সুজনের কথার কোনরকম জবাব দেয় নি। মুখ গম্ভীর করে বসে আছে। নীরবতা যেন কিছুক্ষণ ঝেঁকে বসল সবার মাঝে। সোহান তো শুধু কথা শুনেই যাচ্ছে। যখন যে কথা বলছে সোহান তার দিকেই হা করে তাকিয়ে বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছে।
পুরির ঠোঙাটা এখনও চিনুদার হাতে। সবাইকে ডালপুরি ও পিঁয়াজু ভাগ করে দিল ।কিন্তু কোনরকম অভাব পড়ে নি। সবাই সবসময় চিনুদার জন্য স্পেশাল বাজেট রাখে। কেনার সময় সুজন ঠিকই চিনুদার জন্য অতিরিক্ত কিনে নিয়েছে। কারণ চিনুদা বেঁকে বসলে উপায় নেই। আর গল্প শোনা হবে না। তাই ওকে খুশী রাখার এই ব্যবস্থা। চিনুদা মুচকি হাসতেই সবাই আশ্বস্ত। চপাচপ শব্দে সবাই পুরি আর পিয়াঁজু খেতে ব্যস্ত। আশেপাশে কয়েকটা কাক ও এক জোড়া শালিক পাখি ঘোরাফেরা করছে। কেউ কেউ ছিঁড়ে-খুড়ে একটু আধটু ঢিল দিয়ে কাক-পাখিদের দিচ্ছে।
সবার খাওয়া প্রায় শেষ। কিন্তু চিনুদা চোখ বন্ধ করে আপন মনে চিবোচ্ছে। এ মুহূর্তে কথা বললে রেগে যাবে। তাই একটু নীরবতা চলছে। কিন্তু তা' বেশিক্ষণ বজায় রইল না। নীরবতা ভেঙে নাউড়া বলল- 'তারপর?'
চোখ বন্ধ রেখেই চিবোতে চিবোতে বলল- 'তারপর আর কী, পিকনিকে যাবো!'
সুজন বেশ আশ্চর্য হয়েই বলল- 'কোথায় যাবো’ কখন যাবো’ কীভাবে যাবো কিছুই জানতে পারলাম না।'
চিনুদা সুজনকে কোনরকম পাত্তা না দিয়েই বলে-'জানতে পারবি। সময় হলে সবই জানতে পারবি। সোহান পিকনিকের ব্যাপারে তোর মতামত কী?'
সোহান আমতা আমতা করতে লাগল। কথা বলতে গিয়েও কোন কথা বলতে পারছে না।তারপর কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল এমন সময় চিনুদা জিজ্ঞ্যেস করল-'তোর কোন সমস্যা আছে? কোন সমস্যা থাকলে বলতে পারিস। সমাধান করার চেষ্ঠা করবো।'
সোহান আগেও দেখেছে যে’ কোথায় যাওয়া হবে জানতে চেয়ে সুজন ধমক খেয়েছে। তাই শুধু আমতা আমতা করছিল। চিনুদা অভয় দিয়েই বলল- 'নিশ্চিন্তে বলতে পারিস। কোন ভয় নেই।'
সোহান কথা চিবোতে চিবোতে একটু ভয়েই বলে- 'কোথায় যাওয়া হবে সেটা কি আগে জানতে পারি?'    চলবে...

No comments:

Post a Comment