PravatiPatrika

Friday, July 3, 2020

কবিতা ও গল্প

জাতিস্মর
শর্মিষ্ঠা সাহা


তোমার আমার খুব দামি কথাগুলো
যে বৃষ্টিতে ভেসে যায়,
সেই বৃষ্টিতেই বন্যা আসে
এই শহরের গলি আর পাড়ায়।
সেই বৃষ্টিতেই ভেসে যায়
প্রত্যেক রাতের মন্দ উপাখ্যান,
আর বালিশ ভেজা নোনা-গরমের
মাপতে না পারা লীনতাপের মান।
কাগজের নৌকার নাবিক জানে
ভালো থাকবার পাসওয়ার্ড
রং মিশিয়েও বেরঙীন আর অপেক্ষা
শুধু এই জন্মেই থাক।
জন্মান্তর এ দেখা হলে
ফুটপাথ ধরে হাঁটবো বরাবর
সাক্ষী থেকো কফিনবন্দি অস্থি
আর আমরা জাতিস্মর ।।





পথের পথিক
 আব্দুল রাহাজ

ও পথের পথিক
তুমি যাচ্ছো কোন দেশে
ওরে বাবা যাচ্ছি সে এক দেশে।
তোমার তল্পিটায় কি পথিক
আরে বাছা সে এক জিনিস
তোমার জেনে লাভ কি হবে শুনি।
এখন মানুষ স্বার্থ নিয়ে ঘোরে
আমার মত  পথিকের সুখ দুঃখ কি আর বোঝে।
সেজন্য যাচ্ছিস এক দেশে
যে দেশেতে মানুষ সাহায্য করে
আমার মত এক পথের পথিককে।







বিদ্রোহী ----টু
আবুহোসেন সেখ


আয়রে তোরা আয় হিন্দু ও মুসলমান
কামারের হাত কড়া হাতে নিয়ে আয়।

এক রক্তে গড়া মোরা
                একই দেশের বাসিন্দা।
সবাই মিলে করবো মোরা
                এই বাংলার গনতন্ত্রের রক্ষা।

বাংলার মাটি তোমার কাছে কাঁদি
দেখে রেখো দেখে রেখো
এই বাংলার মানুষেকে তুমি।

আমি আজ আছি তো কাল নেই
কিন্তু পৃথিবীর নিশ্বাস যতদিন
বাংলার মাটি তুমি থাকবে ততোদিন।

দেখে রেখো দেখে রেখো
এই বাংলার মানুষকে তুমি।।

নিয়াই বের করে,ওই মুখোশ ধারিদের
দে বের করে এদেশ থেকে
সুন্দর দেশের ধংস্বার্থের
         মানুষরুপী শয়তান-গুলোকে।।




অভিমন্যু বধ
সপ্তর্ষি মণ্ডল

একে একে এগিয়ে চলেছে সেনা
সাথে কুরু আর পাণ্ডব ছানা ,
হাতে বিচিত্র অস্ত্র আর
বুকে জয়ল্লাস এর স্বপ্ন বাঁধা ।

চারিদিকে মৃত সাম্রাজ্যের ধ্বংসস্তুপ
রক্ত , হাড় আর মাংসের মানুষ
কাতর স্বর কাতরায় , মঞ্চ জুড়ে শব্দে
পঙ্গপাল অশ্বখুড় ।

ধর্মের দিকে দাঁড়িয়ে ধর্মরাজ , ভিম , নকুল ,অর্জুন , সহদেব ,
কৃষ্ণ আর অভিমন্যু ,
একটি ফুল; সদ্য প্রস্ফুটিত ।

লক্ষ লক্ষ সেনা ---
মৃত্যুর মুখ যাদের অজস্র বার চেনা ,
এগিয়ে চলেছে
হাতি , উঠ আর পদাতিক ।

অপর দিকে দুর্যোধনের একশত ভাই ,
কর্ণ , ভীষ্ম , দ্রোনাচার্য , কৃপাচার্য আর
তরুণ তুর্কি অস্বত্থমা ,লক্ষ সেনা
সাথে বলরাম ।

যুদ্ধের বীভৎসতা প্রচন্ড , প্রাণ হারালো
কত শত বীর যোদ্ধা , কত মুকুট লুটিয়ে পড়লো ধুলোর নীচে অনন্ত গভীরে
ইতিহাসের অন্তরালে ।

এরই মাঝে চেয়ে দেখে সকলে
অভিমন্যু বীর
একা চক্রব্যূহ মাঝে যুদ্ধ করে
মানুষের জন্য , ধর্ম রক্ষার তাগিদে ।

কলির কুরুক্ষেত্র দেখলো বসে ,
কপট স্বজন বেসে
রাজনীতির আঘাতে লুটিয়ে পড়ছে
একটা শরীর ।

মুখ তার হতাশ , বোঝেনি
তরুণ তুর্কি এখানে
ফুটতে মানা কলির বাগানে
নিভে যেতে নাহলে , হবে বারবার ।

অভিমন্যু হত , ইতি পাণ্ডুজ ।





আমরা
হরিহর বৈদ‍্য


আমরা নূতন আমরা কুঁড়ি
সবার মাঝে উঠবো ফুটি,
এই আমাদের আশা।
তাইতো দেশে চলছে আজ
অবাধ সাক্ষরতা।
যারা তবু নিচ্ছে চুসে
গরিবের -ই রক্ত,
আর তো মোরা থাকবো নাকো
তাদের দয়ার ভক্ত।
সঠিক পথে চলব সত‍্যকথা বলব,
মিথ্যাবাদী সমাজপতির
পায়ের তলায় দলবো।
জাগবে সারা বিশ্বময়
এই বাঙালি মূর্খ নয়।
লিখব পড়ব শিখব তাই
হয়ে সবাই ভাই ভাই।
বাসবো ভালো সবাই সবার
লড়াই দেশে থাকবেনা আর।
নিয়ে প্রাণে নতুন ভাষা
গড়বো মোরা ভালোবাসা।
একই সাথে সমান তালে
আমরা সবাই চলবো।
একটি জাতি আমরা মানুষ
এই কথাটাই বলবো।





প্রতিবাদ
সত‍্যব্রত ধর

গল্পের হোটেলে হাঁপিয়ে ভালোবেসেছি,
কাজল পরা ঐ কিশোরীকেই।
প্রিয় রঙের নতুন খুশবু রোজ আয়না মাপে,
পাগল আয়ুরেখার ভাবনায়।
বাচ্চা কথার উপর দাড়িয়ে চোখের বারুদ,
ডাইরিতে টুকে রেখেছিলাম সেদিন!
ধর্মের নামে স্বস্বার্থে জরুরী পোষাক পরা ভন্ড,
শেষে লাশকাটা ঘরে আশ্রয় নেয়।
অনুভূতির প্রেক্ষাপট বুঝে স্বপ্নভেজা উচ্ছলতায়,
রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবোই!






পোড়া ইঁট
-----সৌমেন সরকার

কাঁচা মাটির দলা...
তাল পাকানো হয়,প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে ঠিক যেন,
তুলেই চতুর্ভূজের স্বাক্ষরের একটা মস্ত স্ট্যাম্প!
একটা বিকট সপাং আওয়াজ
তার দিয়ে কাটাকুটি খেলা চলে সারা শরীর জুড়ে,
বালির গরম সমুদ্রে তপ্ত স্নান...

নেমে আসে সীমাহীন নগ্নতার অভিশাপ!
পুড়ে লাল হতে হয় কাজ হাসিলের জন্য।

হ্যাঁ,আমিই সেই কাঁচামাটির নরম দলা,
যাকে আকার দেওয়া যেত ইচ্ছা মত,
আজ লাল,বজ্রসম দৃঢ়...
আজ আমি প্রাণঘাতী শক্ত পোড়া ইঁট!





 নদীর প্রেমে ডুবেছে  মাঝি
শ‍্যামল অধিকারী

মনো নদীর কিনারে প্রেমের মাঝি যাতনার দাঁড় টানে,
হৃদয়ের গহীন বনে ঝরে অশ্রু বৃষ্টি অভিমানে।
প্রেম পৃথিবীর ব‍্যস্ত মনো নদীতে কালবৈশাখীর ধ্বংসলীলা,
মনের বজরাতে ঢেউ আসে করে বেদনার খেলা।
ডুবলো বজরা ডুবেছে মন ভেলা,
নদীর পরান প্রেমে ডুব দিয়ে মাঝি ভালোবাসা মাখে এই বেলা।।




বাসা বদল
               –তন্ময় চক্রবর্তী

আমাদের বাড়িতে গানের একটা স্কুল ছিল একসময়।নাম ছিল–সংগীত তীর্থ।দুই দিদি গান শিখত।আরও অনেকে আসত।সকাল সন্ধ‍্যে দুই দিদি গানের রেওয়াজ করত।আমার বয়স তখন খুবই অল্প।নরম আঙুলেই তবলায় সংগত দিতাম,কখনো ঝুনঝুনি বাজাতাম।বাড়িটা সবসময় এক অপূর্ব সুর মূর্ছনায় ভরে থাকত।সে ছিল ছোটখাটো একটা নন্দন কানন।
   বাড়ির পাশেই ছিল একটা ছোট্ট আরণ্যক–অজস্র প্রজাতির গাছ,রংবেরঙের নানা রকমের পাখি।গাছের ডালপালায় এমন ভাবে ছেয়ে থাকত চারপাশ যে এক রহস্যময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল!আমার বড়ো প্রিয় ছিল সেই জায়গা।অন্ধকার ভেদ করে আলোর রশ্মি চোখে এসে লাগত।বেশিরভাগ সময় গাছে উঠে বসে থাকতাম।অনেকদিন সেখানে দুটো সাপের খেলা দেখেছি।ব‍্যাঙকে সাপের মুখ থেকে নিজেকে বাঁচানোর মরিয়া প্রয়াস দেখেছি।একটা গা ছমছমে পরিবেশ ছিল বাড়ির পাশে।
    বড়দিকে দেখতে আসতো ছেলেপক্ষ।লুচি ভাজার দায়িত্ব ছিল আমার।বেলতে পারতাম না!বেলার চেষ্টা করেছি অনেকবার কিন্তু বেলার পরে সেটা পৃথিবীর চেহারার সাথে তো মেলেই নি,এমনকি পৃথিবীর কোনো দেশের মানচিত্রের সাথেই চেষ্টা করেও মেলাতে পারিনি।তাই লুচি ছেঁকে তোলার দায়িত্বটাই ছিল আমার।
     দিদি,খুব সুন্দর করে সাজতো!শাড়িতে মানাতো বেশ!তারপর,ধীর পায়ে চা,জলখাবার সব দিয়ে আসতো অতিথিদের।
    খাওয়া দাওয়ার পর গান শোনানোর অনুরোধ আসতো দিদির কাছে।দিদি গাইত কম্পিত কণ্ঠে, আমি তাল দিতাম।
   তারপর, বিভিন্ন প্রশ্ন,জিজ্ঞাসা।আমার ওসবে মাথাব্যথা ছিল না।ফুলকোতত লুচি, আলুভাজা,আর মিষ্টি পেলেই আমি খুশি হতাম।দু-একটা লুচি নিয়ে পাখিদের খাওয়াতাম।আতা গাছে একটা পাখির বাসা ছিল।দুটো ডিম ছিল।মা পাখি ডিম দুটোর উপরে বসে আগলে রাখত।আমি প্রায়ই উঠে দেখতাম।প্রথম প্রথম পাখিটা ভয়ে উড়ে পালাতো।পরে বুঝতে পেরেছিল আমার দ্বারা কোনো ক্ষতি হবে না।তারপর একদিন দেখলাম–দুটো ডিম থেকে দুটো বাচ্চা হয়েছে।দারুণ আনন্দ হয়েছিল!নতুন চারাগাছ লাগিয়ে সেটা বড়ো হতে দেখা,তারপর ফুল ফুটতে দেখে যেমন আনন্দ হয়;পাখির ডিম থেকে বাচ্চার জন্ম হওয়াটাও ছিল সেরকমই আনন্দের!
     পাখির বাচ্চাগুলোকে খাওয়াতে ব‍্যস্ত ছিলাম, শুনলাম–দিদির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।বিয়ের কথা শুনে খুব আনন্দ হয়েছিল!
    বিয়ের দু-দিন আগে থেকেই বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের ভিড়।নানা রকমের খাবার দাবার।সুযোগ পেলেই খাবার নিয়ে গাছে উঠতাম আর পাখির বাচ্চা দুটোকে খাওয়াতাম।
   বিয়ের দিনটা ভীষণ ব‍্যস্ত ছিলাম কাজে।সকাল থেকেই আকাশটা মেঘলা ছিল।সবাই খুব চিন্তায় ছিল।অবশেষে, মেঘ মাথায় নিয়েই দিদির বিয়ে হয়ে গেল।ঠাকুরমশাই বললেন,'এখনই শেষ হয়নি, ভোরে আবার কুসুমডিঙা হবে।তারপর, সকালে বিদায়।'
   বিদায় কথাটা শুনেই প্রথম বুঝলাম–দিদি চলে যাবে এই বাড়ি ছেড়ে অন‍্য কারোর সাথে অন‍্য বাড়ি।প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টি শুরু হল মাঝরাতে।হঠাৎ মনে পড়ল,পাখির বাচ্চাগুলোর কথা,বাসার কথা,ঝড়ের কথা।কিন্তু, ঝড়বৃষ্টির মধ্যে অন্ধকারে কেমন করে যাই তখন!যেতে পারলাম না!
    বিদায়ের শঙ্খ বাজল,দিদি র চোখে জল,মায়ের চোখে সবার চোখে জল।আমার চোখেও জল এসেছিল।গুমরে গুমরে উঠছিল মেঘ,টুকরো টুকরো স্মৃতি মনে পড়ছিল।দিদিকে চুলির মুঠি ধরে আঘাত দেওয়ার কথা মনে করে ভীষণ কান্না পাচ্ছিল!
     দিদি চলে গেল!ছুটলাম আতা গাছের কাছে।গাছটা বেশ কিছুটা নুয়ে পড়েছে।পাখির বাসাটা মাটিতে।পাখির একটা বাচ্চা মরে পড়ে আছে–চারপাশে ছোট ছোট লাল পিঁপড়ে।আর একটা বাচ্চাকে দেখতে পেলাম না।মনে হয়,মা পাখি তাকে নিয়ে উড়ে গেছে অন‍্য কোথাও।হয়ত অন‍্য কোথাও খড়কুটো দিয়ে আবার নতুন করে বাসা বেঁধেছে।
     মনটা ভীষণ খারাপ!বাড়ির সকলেরই একই অবস্থা দিদির জন্য।দুপুরে খাবার সময় একটু খাবার নিয়ে ভুল করে গাছের কাছে গেলাম।দেখলাম–পাখিটা এসেছে,তার মৃত বাচ্চার চারপাশে ঘুরছে,আবার গাছের শাখায় গিয়ে বসছে,যেখানে বাসাটা ছিল সেখানে।আবার ফিরে আসছে।আমি খাবার নিয়ে তার কাছে যেতেই সে উড়ে চলে গেল!
               





নিজে করো
 - অগ্নিমিত্র ( ডঃ সায়ন ভট্টাচার্য)

  আজকাল একটা কথা খুব শুনতে পাই, আত্মনির্ভর! ...সবাই বলছেন, উদ্বুদ্ধ করতে চাইছেন যে আত্মনির্ভর হও। মানে স্বনির্ভর হও, স্বাবলম্বী হও । ... নিজে করো, নিজেরটা নিজেরা দেখে নাও!..
  আমি যেখানে আগে চাকরি করতাম ও থাকতাম সেই জায়গার লোকেরা দারুণ আত্মনির্ভর ছিলেন। বলা যায় আত্মনির্ভর হবার পথে দশ মাইল এগিয়ে ছিলেন!
  জায়গাটা পাটনা শহর থেকে দশ কিলোমিটার দূরে ।...দোকান বাজার করতে তিন থেকে চার কিলোমিটার পথ যেতে হয়।
 তাতে আমাদের পরিসরের লোকদের কিছু যায় আসতো না । গাড়ি বা বাইক চালিয়ে মাছ- মাংস, তরিতরকারি ইত্যাদি সব কিনে আনতেন তাঁরা । বাস বা অটো তেমন ছিল না, সবাই অতিরিক্ত আত্মনির্ভর ছিলেন বলেই বোধহয়!
 এরকম অনেকদিন চলার পর দেখি , ফ্ল্যাটের নীচে খোলা জমিতেই দিব্যি চাষবাস চলছে। বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, লাউ, সব গজাচ্ছে! একটু দূরে কারিপাতার গাছ বড় হচ্ছে! শীত পড়লে ফুলকপি, বাঁধাকপি ।..
  এভাবেই ওনারা আত্মনির্ভর হবার পথে আরো দশ মাইল এগিয়ে গেলেন।
 ছাদের টবে টমেটো হতো, লঙ্কা হতো।
  আমি জলখাবারে একটু ছাতু খেতে ভালোবাসতাম । তবে ওখানে দোকানে পেতাম না । জিজ্ঞাসা করতে দোকানওয়ালা জানাল, যে এখানে সবাই বেসন বাড়িতেই সেঁকে নিয়ে ছাতু বানিয়ে নেয় !
 রাস্তাঘাটে আলো, মানে ল্যাম্পপোস্ট  ছিল না। রাতে ঘুরঘুট্টি অন্ধকার!.. এরও সপক্ষে ওরা যুক্তি দিত, যে যার যা কাজ সবই তো দিনের বেলায় করে নেওয়া যায় । তবে আর পথের আলোর কী দরকার?! আর রাতে যদি বেরোতেই হয়, তবে গাড়ির হেডলাইট তো আছেই!..
  গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে দিয়ে যেত না; সবাই আত্মনির্ভর ছিলেন বলে বাইকের পিছনে সিলিন্ডার গামছা দিয়ে বেঁধে নিজেরাই ভুটভুট করে চালিয়ে দোকান থেকে নিয়ে আসতেন ।
  পরে একটু সমস্যা হলো। এক চোর এসে মাঝে মাঝে লাউ, টমেটো, বেগুন ইত্যাদি কেটে নিয়ে যেতে লাগলো । মানে চোরও ছিল আত্মনির্ভর!..
  এত করেও ওঁদের আত্মনির্ভরতা টলানো গেল না । এরপর ওরা পরিসরের ভিতরেই একটাৌ বড় চৌবাচ্চা তৈরী করে তাকে ' সুইমিং পুল ' নাম দিলেন ও বাচ্চাদের সাঁতার কাটা শেখাতে লাগলেন! দোলের সময়ে সেটি রং গোলা ও লোককে চোবানোর কাজেও ব্যবহার হতো !
  এরকম বেশিমাত্রায় আত্মনির্ভর জায়গায় বেশিদিন টিকতে পারলাম না । পাততাড়ি গোটাতে হলো।।








No comments:

Post a Comment